সংক্ষিপ্ত
বেঙ্গালুরুর রামেশ্বর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে মূল অভিযুক্তরা গ্রেফতার হওয়ার পর এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন এই মামলা আদালতের বিচারাধীন।
শুক্রবার কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে ৩ দিনের ট্রানজিট রিম্যান্ডে রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্তদের কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। শনিবার বেঙ্গালুরুর আদালতে পেশ করা হয় মুসাভির হুসেন সজীব ও আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহাকে। তাদের ১০ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আবদুল রামেশ্বেরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনার পাণ্ডা বলে জানিয়েছে এনআইএ। তার অন্যতম সহযোগী সজীব। তারা শিবামোগা আইএসআইএস মডিউলের সঙ্গে যুক্ত। তাদের জেরা করে এই জঙ্গি গোষ্ঠী সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানার চেষ্টা করছেন এনআইএ আধিকারিকরা। আবদুল ও সজীবকে সাহায্য করার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছে মুজামিল শরিফ ও মাজ মুনির আহমেদ। সবমিলিয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪।
পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়েও শেষরক্ষা হল না
রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পরেই গা ঢাকা দেয় আবদুল ও সজীব। তারা কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়েছিল। এসপ্ল্যানেডের হোটেল, নিউ দিঘার হোটেলেও ছিল তারা। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে ধরা পড়ে তারা। মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পেরে রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলায় সাফল্যের পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে এনআইএ। আদালতে এনআইএ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড পাওয়া গিয়েছে।
জঙ্গিদের কবজা করতে মরিয়া এনআইএ
দেশের অভ্যন্তরে যে সমস্ত জঙ্গি সংগঠন রয়েছে, সেগুলিকে ধ্বংস করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছে এনআইএ। কট্টরপন্থীরা যাতে তরুণ প্রজন্মকে বিপথে চালিত করতে না পারে, সেই চেষ্টাও চালানো হচ্ছে। আবদুলের বাবা মনসুর আহমেদ সেনাবাহিনীতে ছিলেন। তাঁদের পরিবারের সুনাম রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি আছে আবদুলের। সে উচ্চশিক্ষার জন্য বেঙ্গালুরুতে গিয়ে কট্টরপন্থীদের প্রভাবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। এই প্রবণতা রোখার চেষ্টায় এনআইএ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Rameshwaram Cafe Blast: জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলা, তোপ বিজেপি-র