সংক্ষিপ্ত
ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, রানা আয়ুব তাঁর নিজের ও পরিবারের অন্য় সদস্যের নামে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা করেছেন। মানুষের জন্য কাজ করার জন্য টাকা সংগ্রহ করতেন তিনি। আর তারপর সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ।
সাংবাদিক রানা আয়ুবের ১.৭৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রানা আয়ুব পূর্ব পরিকল্পিত উপায়ে সাধারণ মানুষের জন্য পাঠানো টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন। পাল্টা এক বিবৃতি জারি করে এবার সেই অভিযোগের জবাব দিলেন সাংবাদিক। ইডির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। পাশাপাশি কীভাবে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে তা সঠিক জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে তারও হিসেব দিয়েছেন তিনি।
যদিও ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, রানা আয়ুব তাঁর নিজের ও পরিবারের অন্য় সদস্যের নামে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা করেছেন। মানুষের জন্য কাজ করার জন্য টাকা সংগ্রহ করতেন তিনি। আর তারপর সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। যে খাতে ব্যবহার করার জন্য তিনি টাকা সংগ্রহ করতেন তা সেই খাতে ব্যবহার না করে অন্য খাতে ব্যবহার করতেন। আর এভাবেই একটু একটু করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
তবে ইডির সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রানা আয়ুব। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে মিডিয়াতে যে রিপোর্ট বেরিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পাশাপাশি কোন খাতে তিনি কত টাকা খরচ করেছেন তারও হিসেব দিয়ছেন তিনি। জানিয়েছেন, তিনটি পাবলিক ক্যাম্পেনের মাধ্যমে মোট ২ কোটি ৬৯ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৭৯ টাকা সংগ্রহ করেছিলেন। যে সমস্ত ত্রাণকাজ করেছিলেন তার বিলও দেখিয়েছেন তিনি। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে একটি হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কোভিড পরিস্থিতির ভয়াবহতা আমি দেখেছিলাম। সেকারণে কোভিড হাসপাতাল তৈরির চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেটা করতে দেরি হচ্ছিল। সেকারণে হাসপাতালে টাকা দান করা শুরু করেছিলাম রোগীদের চিকিৎসার জন্য।"
তিনি আরও লিখেছেন, "দিল্লির তিলক হাসপাতালের শিশু বিভাগে সহায়তার জন্য সেভ দ্য চিলড্রেন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তির দিকেও এগিয়েছিলাম। সেকারণে ২০ অগাস্ট ৯০ লাখ টাকার একটি চেকও ইস্যু করা হয়। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল সাউথ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এই টাকা নিতে অস্বীকার করছে। তখন চেক ফেরত দেওয়া হয়।" গোটা দেশের সেবার কাজে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন তিনি। আর তার সঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন সাংবাদিকতাও। ফলে এই ধরনের কোনও অপপ্রচার তাঁকে মানুষের সেবা করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।