সংক্ষিপ্ত

স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শ্রমিকরা টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। তিন শিফটে কাজ হবে। এক জল যখন বিশ্রাম নেবে অন্য দলটি তখন কাজ করবে।

 

ধসে পড়া উত্তরকাশীর সিল্কিয়া -বারকোট টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের জন্য এবার ব়্যাট-হোল মাইনিং খনন কাজ শুরু হয়েছে। কারণ উদ্ধারকাজের জন্য ব্যবহার করা অগারমেশিন ভেঙে চৌচির হয়েগেছে। সুড়ঙ্গ আর গর্ত থেকে অগার মেশিনের ধ্বংসাবশে উদ্ধারের পরই সোমবার সন্ধ্যায় ৭টায় ইঁদুর খননকাজ শুরু হয়েছে।

কাজের পদ্ধতি

স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শ্রমিকরা টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। তিন শিফটে কাজ হবে। এক জল যখন বিশ্রাম নেবে অন্য দলটি তখন কাজ করবে। একটি অতিরিকক্ত প্যাসেজওয়ে তৈরির জন্য উলম্ব ড্রিলিং শুরু হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই ৩৬ মিটার অগ্রসর হয়েছে। দুটি পদ্ধতিতে ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু হয়েছে। এটি কয়লা উত্তোলনের একটি প্রাচীন পদ্ধতি। একটি সরু খাদ তৈরি করা হয়। এটি অত্যান্ত ধীর প্রক্রিয়া।

rat hole mining

বাংলা করলে দাঁড়ায় ইঁদুরের গর্ত খনন। মেঘালয়ের প্রচলিত এই খনন কার্য। একটি সরু আর সমান্তরান গর্ত খোঁড়া হয়। সেখান থেকেই কয়লা উত্তোলন করা হয়। দেখতে হয় অনেকটা ইঁদুরের গর্তের মত। খুব সরু। একজন ব্যক্তি সেখান দিয়ে কয়লা নিয়ে ওঠানামা করতে পারে। গর্ত খোঁড়া হয়ে গেলে শ্রমিকরা দড়ি বা বাঁশের মই ব্যবস্থার করে কয়লার উত্তোলন করে। তারপর কয়লা বেলচা ও ঝুড়ির মত প্রচীন সরঞ্জাম ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি উত্তোলন করা হয়।

নিরাপত্তা

ইঁদুরের গর্ত খনন উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত বিপদ সৃষ্টি করে। খনিগুলি সাধারণত অনিয়ন্ত্রিত, যথাযথ বায়ুচলাচল, কাঠামোগত সহায়তা, বা শ্রমিকদের জন্য সুরক্ষার অভাব রয়েছে। এতে ভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটির কাজও খুব বিপজ্জনক।

বর্তমানে এই খনন নিষিদ্ধ

২০১৪ সালে ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইবুনাল এই খনন প্রক্রিয়াকে নিষিদ্ধ করেছে। এনজিটি পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যেখানে ইঁদুর-গর্ত খনির কারণে বর্ষাকালে খনি এলাকায় জল ঢুকছে। তাতে কর্মী ও শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই আদেশ মেঘালয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ সেখানেই এটি বেশি ব্যবহার করা হত। রাজ্য সরকার এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।