এখনও মন্দিরে ঢোকার অনুমতি পাননি জগন্নাথদেব, শুক্রবার কেমন ছিল পুরীর ছবি, দেখুন
রথযাত্রার পরে গুন্ডিচা মন্দিরে যায় জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার তিনটি রথ। এবার মূল মন্দিরে ফিরে এসেছেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। মূল মন্দিরে এঁদের প্রত্যাবর্তনই হল উল্টোরথ যাত্রা। তবে উল্টোরথ কেটে গেলেও, এখনও মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি পাননি জগন্নাথদেব।
| Published : Jun 30 2023, 06:24 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
এ বছর রথযাত্রা ছিল গত ২০ জুন, মঙ্গলবার। উল্টোরথ পালিত হল ২৮ জুন, বুধবার। আষাঢ় মাসের শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয় রথযাত্রা।
রথযাত্রা পালিত হওয়ার ৮দিন পরে দশমী তিথিতে উল্টোরথ যাত্রা হয়। ভক্তরাই এই রথ পুরীর রাস্তায় টানেন। রথযাত্রাটি প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে গুন্ডিচা মন্দিরে শেষ হয়।
গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছতে প্রায় ১ দিন সময় লাগে রথের। এখানেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা ৮ দিন থাকার পরে ৯ দিনের মাথায় বেরিয়ে পড়েন।
রথযাত্রার ঠিক ৮ দিনের মাথায় গুন্ডিচা মন্দির থেকে জগন্নাথ দেব যাত্রা করেন নিজ ধাম পুরীর মন্দিরের উদ্দেশ্যে। এই দিনটিকে বাঙালীরা বলেন উল্টোরথ।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে রথে করে মাসির বাড়ি যাওয়ার আগের দিন জগন্নাথদেব মহালক্ষ্মীকে বলে যান যে পরের দিনই তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু চার দিন পরেও তিনি না ফিরলে স্বামী কেমন আছেন, সেই চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন মহালক্ষ্মী।
বলরাম ও সুভদ্রা মন্দিরে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করলেও জগন্নাথ দেব ও লক্ষী দেবীর মধ্যে নানা কান্ড কারখানা শুরু হয়। জগন্নাথ দেবের মূর্তি প্রবেশের সময় মন্দিরের মূল ফটক বন্ধ করে দেন লক্ষ্মী দেবী।
এতদিন বাড়ি ছেড়ে থাকার জন্য তার কাছে কৈফিয়েত দাবি করেন লক্ষ্মী দেবী। শেষে ভক্তদের অনুরোধে দরজা খুলে দেন লক্ষ্মী দেবী। এই প্রথা ঘিরেও চলে নানা অনুষ্ঠান। এইভাবে সম্পন্ন হয় রথযাত্রার অনুষ্ঠান।
যদিও পুরীতে উল্টোরথ নামে কোনও অনুষ্ঠান হয় না। ওড়িশায় এই দিনটিকে বলা হয় বাহুরাযাত্রা। তবে এই উল্টোরথের পরেও মন্দিরে প্রবেশের সুযোগ থাকে না জগন্নাথ দেবের।