সংক্ষিপ্ত
বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানিকে বলেছিলেন যে আমরা জানতে চাই যে ধর্মান্তরকরণ জোর করে বা লোভে পড়ে করানো হচ্ছে কিনা
ধর্মান্তকরণ নিয়ে বড়সড় রায় সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালত বলে ধর্মান্তকরণ একটি গুরুতর সমস্যা এবং এটিকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়া উচিত নয়। আসলে, লোভ দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়। এই আবেদনের শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানির কাছে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভয় দেখিয়ে, লোভ দেখিয়ে বা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ধর্মান্তরিতকরণ নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানিকে বলেছিলেন যে আমরা জানতে চাই যে ধর্মান্তরকরণ জোর করে বা লোভে পড়ে করানো হচ্ছে কিনা এবং এটি ঘটলে আমাদের কী করা উচিত? এবং এটি নির্মূল করার জন্য কি করা উচিত। এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে সাহায্য করতে হবে।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট পি. উইলসন, তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে আবেদনটিকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে তামিলনাড়ুতে এই ধরনের ধর্মান্তরের প্রশ্নই আসে না। এতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ আপত্তি জানিয়ে বলেছিল যে "আদালতের শুনানিকে অন্য বিষয়ে সরানোর চেষ্টা করবেন না। আমরা পুরো দেশ নিয়ে চিন্তিত যদি এটি আপনার রাজ্যে হয় তবে এটি খারাপ এবং যদি তা না হয় তবে এটি এটা হলে ভালো কথা। এটাকে কোনো রাষ্ট্রকে টার্গেট করা হিসেবে দেখবেন না। এটাকে রাজনৈতিক বানাবেন না।"
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অ্যাডভোকেট অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। যেখানে প্রতারণামূলক বা জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে এই গুরুতর বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, এই বলে যে জোর করে ধর্মান্তরকরণ দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। গুজরাট সরকার বিয়ের জন্য ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি বাধ্যতামূলক করে একটি আইন প্রণয়ন করেছিল। যদিও গুজরাট হাইকোর্ট এই আইন স্থগিত করেছিল। স্থগিতাদেশ তুলে নিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল গুজরাট সরকার। এই সময় গুজরাট সরকার বলেছিল যে ধর্মের স্বাধীনতার মধ্যে ধর্মান্তরিত হওয়ার অধিকার অন্তর্ভুক্ত নয়।
আবেদনে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ গোটা দেশের সমস্যা এবং এ বিষয়ে অবিলম্বে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আবেদনে বিচার কমিশনকে একটি প্রতিবেদন ও একটি বিল তৈরি করারও দাবি করা হয়েছে, যাতে ভয় দেখিয়ে বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এখন ৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে শুনানি হবে।