সংক্ষিপ্ত
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের শাসনকালে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল মিলিয়ে ইডির দায়ের করা মামলার সংখ্যা ছিল ২৬। মোদীর জমানায় মোট মামলার সংখ্যা ১২১। উল্লেখ্য, এই তালিকায় নাম নেই বিজেপির এক জনেরও।
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের শাসনকালে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল মিলিয়ে মামলার সংখ্যা ছিল ২৬, তাঁর শাসনকাল ছিল ১০ বছর। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৮ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বে শুধু কংগ্রেসেরই ২৪ জন নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বাকি সমস্ত দল মিলিয়ে মোট মামলার সংখ্যা ১২১। বিশেষ উল্লেখ্য এটাই যে, এই তালিকায় নাম নেই কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপির এক জনেরও। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদসংস্থার ‘অন্তর্তদন্তমূলক প্রতিবেদনে’ এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
ইডির ক্রিয়াকলাপ সংক্রান্ত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউপিএ সরকারে আমলে ইডির নিশানা হওয়া নেতাদের মধ্যে ৫ জন ছিলেন কংগ্রেসের। তাঁরা হলেন, অশোক চহ্বাণ, সুরেশ কলমডী, নবীন জিন্দল, পবনকুমার বনশল এবং বিজয় দারদা। এ ছাড়া সহযোগী ডিএমকে দলের চার জন এবং তৃণমূলের সাত জন নেতা ছিলেন সেই তালিকায়। এমনকি বিজেপির তিন নেতারও নাম ছিল সেই তালিকায়।
নরেন্দ্র মোদীর জমানায় ইডির তদন্ত পুরোপুরি ‘একমুখী’ বলে দাবি করা হয়েছে উল্লিখিত প্রতিবেদনে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংস্থার নিশানায় থাকা রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই বিরোধী দলের। বাকি মাত্র ৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছেন কিছু নির্দল নেতা এবং এডিএমকে, পিডিপি, সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির মতো বিজেপির প্রাক্তন ও বর্তমান কয়েকটি সহযোগী দলের কম গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। অন্য দিকে, বিরোধী দলের ক্ষেত্রে টার্গেট হয়েছেন হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। কংগ্রেস, তৃণমূল, ইত্যাদি কঠিন প্রতিপক্ষ দলের নেতৃবৃন্দ যেমন, সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পওয়ার, পিনারাই বিজয়ন, ফারুক আবদুল্লার মতো বিরোধী শিবিরের একেবারে প্রথম সারির নেতারা রয়েছেন ইডির নিশানায়।
ক্ষমতাশালী প্রতিপক্ষদের দুর্বল করে দিতে সিবিআইয়ের থেকেও মোদী সরকার যে এখন ইডির ওপরেই বেশি নির্ভর করছে, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মোদী জমানায় প্রায় ২০০ নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই, এই সংস্থার দায়ের করা মামলায় বিরোধী নেতানেত্রীর সংখ্যা ৮০ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে, প্রায় এক তৃতীয়াংশ কর্মী ও আধিকারিক নিয়ে ইডি দায়ের করেছে মোট ১২১টি মামলা।
তাহলে আসন্ন ২০২৪-এর ভোটের ময়দানে কোমর বেঁধে লেগে পড়ার জন্য কি আগেভাগেই রাজনীতির খেলাকে প্রতিদ্বন্দ্বীহীন করে তুলতে চাইছে দেশের সর্ববৃহত্তম শক্তি? বিরোধী গোষ্ঠীরা অবশ্য বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আগেই তুলেছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেও জানানো হয়েছিল অভিযোগ। এবার, সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বিরোধীদের সেই অভিযোগে শিলমোহর পড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন-
২০১৪ সালের টেটে চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা কে কত নম্বর পেয়েছিলেন? সমস্ত তথ্য চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লালু, সুখরামের সঙ্গে তুলনা! কোটি কোটি টাকার কথায় বিস্মিত তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়
৫৫ কোটি টাকার সোনা! বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মারুতি গাড়ি আটকাতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ কর্তাদের