সংক্ষিপ্ত
দিল্লির কর্তব্যপথে ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিসবের কুচকাওয়াজে অংশ নিল মিশরীয় সেনা সদস্যরা। তাদের নেতৃত্ব দেয় কর্নেল মহম্মদ মহম্মদ আবদেল ফতেহ ইল খারসাওয়
৭৪তম প্রজানন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজের মূল আকর্ষণই হল মিশরের সেনা বাহিনীর প্যারেড। বৃহস্পতিবার মিশরের সেনা বাহিনীর সদস্যরা কর্তব্যপথের কুচকাওয়াজে অংশ নেন। তাঁরা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে স্যালুট করেন। এই দিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল সিসি। মিশরই হল ২০২৩ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি দেশ। এই দেশের ১৪৪ জন সেনা কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
ইজিপ্টের সেনা বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছে, কর্নেল মহম্মদ মহম্মদ আবদেল ফতেহ ইল খারসাওয়। মিশনের সেনা বাহিনীর প্রধান প্রধান অংশগুলিতেই তারা তুলে ধরছে এই দেশের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ছানে এই প্রথম ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মিশরের রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে মিশরের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হল এল সিসি। তিনি ১৯৭৭ সালে মিশরের সামরিক অ্যাকাডেমি থেকে স্নাতক হন। ২০১০ সালে দেশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক পদে নিযুক্ত হন। ২০১২ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সাল থেকেই তিনি মিশরের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ইজিপ্সিয়ান সেনা বাহিনী বিশ্বের প্রাচীনতম সেনা বাহিনীগুলির একটি। এই সেনা বাহিনী তাদের মানবিকতার জন্য রীতিমত বিখ্যাত।
এই প্রসঙ্গে বলা রাখা ভাল ইজিপসিয়ান আর্মির ইতিহাস শুরু হয়েছে খ্রিষ্টপূর্ব ৩২০০ শতাব্দিতে। সেই সময় ইজিপ্টের রাজা নারমের ছিলেন ইজিপ্টের রাজা। আধুনিক ইজিপ্ট সেনা বাহিনী তৈরি হয়েছিল মহম্মদ আল পাশার আমলে। তিনি ইজিপ্টকে আধুনিক করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। তিনি সেনা বাহিনীর হাত ধরেই নতুন ও আধুনিক ইজিপ্ট তৈরির পথ প্রসস্থ করেছিবেন।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আল সিসি চার দিনের সফরে দিল্লি এসেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছে দেশের শীর্ষকর্তাদের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল। বুধবারই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেখানে দুই দেশের বাণিজ্য, দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছেন। প্রসঙ্গত বলে রাখাভাল ভারত-মিশর দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিরক্ষায় সহযোগী যাত্রী। ১৯৬০ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনী ইজিপ্টের বায়ু সেনার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।
গতকাল মিশরের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, দুই দেশই মনে করে সন্ত্রাসবাদ মানবতার জন্য একটি বিশেষ হুমকি। সন্ত্রাসবাদের কারণে নষ্ট হয় দেশের নিরাপত্তা। তিনি আরও জানিয়েছেন গত কয়েক বছর ধরেই ভারত-মিশর দুই সেনা বাহিনীর সদস্যরা যৌথ মহ়ড়া প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রতিরক্ষা শিল্পেও দুই দেশ সহযোগী। প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা তথ্যও দুই দেশ আদানপ্রদান করে।