সংক্ষিপ্ত
ভারত সঞ্চাল নিগম লিমিটেড (BSNL) ধসে পড়া টানেলে সাইট থেকে ২০০ মিটার দূরে টেলিফোন বসিছে। যাতে আটকে পড়া শ্রমিকরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে
উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেলে উদ্ধারকাজ বারবার ব্যহত হয়েছে। এখনও সুড়ঙ্গের অন্ধকারে আটকে রয়েছে ৪১ জন শ্রমিক। সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা শ্রমিকরা এখনও মানসিকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। তারা সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশান। কিন্তু বাইরে থাকে শ্রমিকদের আত্মীয়দের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। আর সেই কারণে আটকে পড়া শ্রমিকদের আত্মীয়দের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই ল্যান্ডলাইনের ওপরও ভরসা রেখেছেন। সেই কারণে ইতিমধ্যেই একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে।
ভারত সঞ্চাল নিগম লিমিটেড (BSNL) ধসে পড়া টানেলে সাইট থেকে ২০০ মিটার দূরে টেলিফোন বসিছে। যাতে আটকে পড়া শ্রমিকরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আটকে পড়া টানেলে গত ১৩ দিন ধরেই আটকে রয়েছে ৪১ জন শ্রমিক। আগেই তাদের হাতে একটি হ্যান্ডসেট দেওয়া হবে।
বিএসএনএস-এর ডিজিএম রাকেশ চৌধুরী বলেছেন, 'আমরা একটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ স্থাপন করেছি। খাবার পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত পাইপের মাধ্যমে আমরা তাদের লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত একটি ফোন দেব। এই ফোনে ইনকামিং ও আউটগোয়িং সুবিধে থাকবে। তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারবে।' বর্তমানে শ্রমিক ও তাদের আত্নীয়দের মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি ৬ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে একটি এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা পাঠান হয়েছে। এই ক্যামেরার মাধ্যমেই উদ্ধারকর্মী , আত্মীয়দের সঙ্গে ও আটকে পড়া শ্রিমকরা যোগাযোগ করতে পারছে।
তবে উদ্ধারকাজ বারবার ব্যাহত হওয়ার কারণে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাইরে বার হতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। বর্তমানে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন সুড়ঙ্গের পাহাড় খুঁড়ে ৪১ জনকে বার করে আনার চেষ্টা করছে। রবিবার থেকেই এই কাজ শুরু হতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধারকর্মীরা জানান, ড্রিলিং মেশিন দিয়ে খোদাই করা প্যাসেজ দিয়ে ড্রিল বিট তোলা হচ্ছে। দুই দিনের ব্যবধানে মুখোমুখি হওয়া দুটি বিপর্যয় বেশ কয়েক দিন ধরে টানেলের বাইরে শিবিরে থাকা উদ্বিগ্ন আত্মীয়দের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অপারেশন বন্ধ হওয়ার আগে, প্রায় ৬০ মিটার দীর্ঘ আনুমানিক টানেলের ধসে পড়া অংশে ৪০০-মিলিমিটার-প্রশস্ত ইস্পাত পাইপের ৪৬.৮ মিটার ড্রিল করা প্যাসেজওয়েতে ঢোকানো হয়েছিল।