সংক্ষিপ্ত
- আরও শক্তিশালী ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
- রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ মিসাইল পাচ্ছে ভারত
- ৫টি এস-৪০০ মিসাইল আসছএ ভারতে
- ২০২৫ সালের মধ্যে চলে আসবে মিসাইলগুলি
শক্তি বাড়ছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর। রাশিয়া থেকে আনা হচ্ছে ৫টি এস-৪০০ মিসাইল। ২০২৫ সালের মধ্যে এই আধুনিক মিসাইল পাবে ভারতীয় সেনা। সাংবাদিক সম্মেলনে জানাল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
বর্তমান সময়ের বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র রাশিয়ার এস-৪০০ মিসাইল। এয়ার টু ডিফেন্স মিসাইল হিসাবে এই মিসাইলের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বজোড়া। রাশিয়ার মিশন রোমান বাবুশ্নিকের উপপ্রধান শুক্রবারই ভারতীয় বাহিনীকে এই মিসাইল সরবরাহের কথা জানান রাশিয়ার সরকারি সাংবাদমাধ্যমে।
আরও পড়ুন: দয়া দেখালেন না রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ, নির্ভয়ার ধর্ষক মুকেশ সিং-এর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ
অব্যর্থ নিশানা লাগাতে জবাব নেই এয়ার টু ডিফেন্স মিসাইলের। পাশাপাশি এই মিসাইল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়াও সহজ। ট্রাকের আকারে তৈরি লঞ্চপ্যাড থেকে খুব সহজেই নিশানা লাগানো যায়। আকাশে ভাসমান কোনও যুদ্ধবিমান বা মিসাইলকে মুহুর্তের মধ্যে ধ্বংস করতে সক্ষম এই মিসাইল।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগামী ২২ মার্চ রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন। সেখানে রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে ভারতে। এই সফরের মাঝেই এস-৪০০ ভারতে আসার ব্যাপারে আরও একদফা আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা আকাশে ভাসমান কোনও বস্তুতে অব্যর্থ নিশানা হানতে সক্ষম এস-৪০০। এই বিশেষত্বের সঙ্গে মিলিয়েই নামকরণ করেছে রাশিয়া। এবার রাশিয়া বাদে একমাত্র ভারতের হাতে থাকতে চলেছে এই অত্যাধুনিক মিসাইল।
এর পাশাপাশি চলতি বছরেই ভারত আধুনিক ৫০০০ কালাশানিকোভ পেতে চলেছে রাশিয়া থেকে। এছাড়াও ৬০টি কা-২২৬৭ হেলিকপ্টার আসছে রাশিয়া থেকে। চুক্তিতে থাকা আরও ১৪০টি হেলিকপ্টার তৈরি হবে ভারতেই।
আগেই ভারত পেয়েছে ফরাসি প্রযুক্তিতে তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান। এবার রুশ প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী সমরাস্ত্র এস-৪০০ পেয়ে আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কেনা মোটেই সহজ ছিস না। ঝুলছিল মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া। তা জেনেও আমেরিকাকে না চটিয়ে চিন-পাকিস্তানের মোকাবিলায় রাশিয়ার থেকে এই সমরাস্ত্র কিনতে বদ্ধপরিকর ছিল ভারত। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের সময় তা নিয়ে ৫৪৩ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের মধ্যে।