সংক্ষিপ্ত
শচীন পাইলট শিশু সুলভ মুখ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে গেছেন
অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের
তাঁর কথা প্রথমে কেউ বিশ্বাস করেনি
শচীন পাইলটকে আবারও একহাত নিলেন তিনি
শচীন পাইলটেনর বিরুদ্ধে পুরোপুরি অক্সিজেন নিয়েই যুদ্ধ ঘোষণা করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ৬২ বছরের গেহলট তাঁর প্রাক্তন তরুণ সতীর্থের বিরুদ্ধে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন তিনি সবজি বিক্রি করতে আসেননি। তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। গত ৬ মাস ধরে তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে।
অশোক গেহলট আরও বলেন, মানুষের কল্পনার অতীত শচীন পাইলট অমন শিশু সুলভ মুখ নিয়ে দিনের পর দিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাশাপাশি তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে গেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ শচীন পাইলট সম্বন্ধে তিনি যখন প্রথমে মুখ খুলেছিলেন তখন কেউই তাঁর কথা বিশ্বাস করতে চায়নি।
শচীন পাইলটকে নিকম্মা বলেও সম্বোধন করেন অশোক গেহলট। পাশাপাশি তিনি বলেন শচীন কোনও কাজেরও নয়।
অশোক গেহলট আরও বলেন সরিয়ে দেওয়ার আগে পর্যন্ত শচীন পাইলটকেই রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে রেখে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ পদেও ছিলেন তিনি। কিন্তু গত ৬ মাস ধরে তিনি তাঁর পদ ও মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বাঘাতকতা করেছেন বলেও অভিযোগ।
অশোক গেহলট আরও বলেছেন রাজস্থানের একটি বিশালবহুল হোটেলে তাঁর অনুগামী বিধায়করা রয়েছেন। তাঁদের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু শচীন তাঁর অনুগামীদের বন্দি করে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাইলট প্রথমে তাঁর সঙ্গে ৩০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করলে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৮ জনেরই সমর্থন জোগাড় করতে পেরেছেন।
অশোক গেহলট শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও জাতীয় স্তরের নেতৃত্ব এখনও রাগুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ শচীনকে দলে ফিরিয়ে আনতে চান বলেই সূত্রের খবর। দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছিলেন শচীন পাইলটের জন্য দলের দরজা সর্বদা খোলা রয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও পাইলটে দলে ফিরে আসার কথা বলেছিলেন। অন্যদিকে শচীন প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না। যদিও গেহলটের অভিযোগ বিজেপির সাহায্যেই সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও শচীন ইস্যুতে আগেই গেহলটকে মুখ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল দলের নেতৃত্ব। কিন্তু গেহলট আবারও পাইলটের বিরুদ্ধে সরব হলেন। আর গেহলটের এই বার্তার পরই রাজনৈতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন শচীন পাইলটকে দল থেকে ছেঁটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়তো শুরু হয়ে গেছে অভ্যন্তরে।