সংক্ষিপ্ত

দেশের হাজার হাজার সমপ্রেমী যুগল কী আইনি স্বীকৃতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে? শীর্ষ আদালতের চূড়ান্ত রায় কী হতে পারে? জানা যাবে আজই।

আর কিছুক্ষণের মধ্যই ঐতিহাসিক রায়দান। সমপ্রেমী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি আজ। কী হবে আদালতের সিদ্ধান্ত? অবশেষে কি ভালোবাসার অধিকারে আইনি শিলমোহর পড়বে? শীর্ষ আদালতের রায়ের দিকে তাঁকিয়ে হাজার হাজার সমপ্রেমী যুগ। দেশের হাজার হাজার সমপ্রেমী যুগল কী আইনি স্বীকৃতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে? শীর্ষ আদালতের চূড়ান্ত রায় কী হতে পারে? জানা যাবে আজই।

অন্যদিকে সমপ্রেমী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিতে নারাজ কেন্দ্র। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সমকামী বিবাহের আইনি বৈধতা চাওয়ার আবেদনগুলি সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার উদ্দেশ্যে একটি 'শহুরে অভিজাত' দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফল বলে দাবি করা হয়েছে। আদালতের কাছেও এই বিবাহের আইনি বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার আবেদন জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।

১৮ এপ্রিল সমপ্রেমী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি মামলায় সুপ্রিল কোর্টের শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে দেশের প্রধান বিচারপতি ছাড়াও থাকবেন বিচারপতি সঞ্জয় কিশান কউল, এস রবীন্দ্র ভাট, পি এস নরসীমা এবং হিমা কোহলি। নিজের পছন্দ অনুযায়ী ব্যক্তিকে বিবাহ করার স্বাধীনতা সমপ্রেমীদেরও দেওয়া উচিত বলে দাবি মামলাকারীদের। এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে অনেকেই। এরমধ্যে দিল্লি কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস-এর নাম উল্লেখ্যযোগ্য। সমপ্রেমীদেরও সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার দেশের আইনে থাকা বাঞ্ছনীয় বলে দাবি করছে তাঁরা। সেক্ষেত্রে যুগলকে সাহায্য করারও দাবি করেছে কমিশন।

এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্টও তলব করেছে আদালত। সমপ্রেমী বিবাহ আইনসিদ্ধ করার বিষয় কেন্দ্রকে নোটিশও পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। এক গে যুগল স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় সমপ্রেমী বিবাহের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করেন। যুগলের পাশে দাঁড়ায় গোটা দেশের এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ে-সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। দেশের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করেছেন। আজ, ১৮ এপ্রিল মিলবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন - 

সমপ্রেমী বিবাহে কি মিলবে আইনি স্বীকৃতি? আগামী ১৮ এপ্রিল উত্তর দেবে সুপ্রিম কোর্ট

"মুখ্যমন্ত্রী কি ট্রান্স ফোবিক?" বৈষম্যের জবাব চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্না শহরের রূপান্তরকামীদের

তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে সোমবার থেকেই বন্ধ রাজ্যের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর