সংক্ষিপ্ত

  • তাদের চোখে মহিলারা 'ট্র্যাশ' বা আবর্জনার থেকে বেশি কিছু না
  • সহপাঠীদের ধর্ষণ করার আলোচনাও তাদের কাছে স্বাভাবিক
  • প্রত্যেকেই মাত্র ১৩-১৪ বছরের নামী স্কুলের ছাত্র
  • তাদের আলোচনা জেনে হতবাক গোটা সমাজ

 

তাদের চোখে মহিলারা 'ট্র্যাশ' বা আবর্জনার থেকে বেশি কিছু না। তারা সহপাঠীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা তাদের গণধর্ষণ করার আলোচনা, আর পাঁচটা নৈমিত্তিক আলোচনার মতোই স্বাভাবিক। এরা প্রত্যেকেই কিন্তু মুম্বইয়ের নামী স্কুলের ছাত্র ছিল। বয়স মাত্র ১৩-১৪। তারাই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেয়ে সহপাঠীদের গণধর্ষণ করা থেকে শুরু করে এমন কিছু আলোচনা করেছে, যা প্রকাশ্যে আসার পর হতবাক গোটা সমাজ।

মুম্বইয়ের এক স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এরা সকলেই পড়ত শহরের আন্তর্জাতিক বোর্ড পরিচালিত এক শীর্ষ স্থানীয় স্কুলে। কিন্তু সম্প্রতি এই ছেলেদের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন ধরা পড়ে যায় তাদেরই দুই সহপাঠীর বাবাদের কাছে। ওই দুই অভিভাবকই নিজেদের জগতে সেলিব্রিটি বলে জানা গিয়েছে। এরপর তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ করেন। এরপর স্কুল থেকে তদন্ত করে কথোপকথনে জড়িত মোট আটজন ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

আরও পডড়ুন - শীতের ভোরে পুলিশের ঘুম, লকআপ থেকে চম্পট দিল নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত

আরও পড়ুন - বৌদিকে কুপিয়ে খুন, ধরা পড়ে গণধোলাই খেলো দেওর

কী ধরণের আলোচনা হত তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে? কখনও মেয়ে সহপাঠীর সম্পর্কে 'গ্যাং ব্যাং' বা অনেকে মিলে যৌন সম্বন্ধ স্থাপন করার আলোচনা হয়েছে। কখনও আবার কোনও সহপাঠিনীর যৌনাঙ্গ নিয়ে আলোচনা, সেখানে আঘাত করার কথা হয়েছে। ১৩-১৪ বছরের স্কুলছাত্ররা এমনকী বান্ধবীদের ধর্ষণ করার মতো মারাত্মক কথাও খোলামেলা আলোচনা করেছে। এছাড়া সমকাম ও সমকামীদের নিয়ে তীব্র ঘৃণাও প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন - শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করল প্রতিবেশী কিশোর, দুই পরিবারের ধুন্ধুমারে জখম এক গর্ভবতী

আরও দেখুন - ৩০ সেকেন্ডে ২২টি জুতোর বাড়ি, যোগী-রাজ্যে রণচন্ডী মহিলা কনস্টেবল

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেক ছাত্রীই স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে। যেভাবে ওই স্কুল ছাত্ররা খোলাখুলি হিংসাত্মক এবং যৌনতামূলক আলোচনা করেছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়েছে সমাজেও।

একজন অভিভাবক জানিয়েছেন, সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রদের মধ্যে স্কুলে 'নেতৃত্বের পদে' থাকা একাধিক শিক্ষার্থীও ছিল। সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন। অভিনেতা রনিত রায়-ও লিখেছেন, 'এসব কি চলছে আমাদের সমাজে! একজন বাবা হিসাবে আমি আমার ছেলে এবং মেয়ে দুজনের জন্যই ভয় পাচ্ছি!' আরেক টুইটার ব্যবহারকারী বলেছেন, 'এখানেই মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসার সমস্যার সমাধান করতে হবে। নাহলে অবস্থা একেবারে হাতের বাইরে চলে যাবে।'