সংক্ষিপ্ত
গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে পাকিস্তান অথবা আফগানিস্তানের কোনও জঙ্গি সংগঠনই এই হামলার পরিকল্পনা করছে। তাদের নিশানায় সরকারি আধিকারিকরাও থাকতে পারে। জঙ্গিদের নিশানায় থাকতে পারে দেশের ঐতিহ্যবাহী সৌধগুলিও। তবে গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন সাধারণতন্ত্র দিবসের জনসমাবেশের ওপরেও হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা।
প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) বড়সড় নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা। তেমনই বলা হয়েছে গোয়েন্দা সূত্রে। জঙ্গিদের (Terrorist) নিশানায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) থেকে শুরু করে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি (Indian Intelengence Agencey)। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সতর্কতা পাওয়ার পর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের প্রথম সারির বিশিষ্টদের নিরাপত্তায়।
গোয়েন্দাদের একটি ৯ পাতার রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে ৭৫তম সাধারণতন্ত্র দিবসের (75th Republican Day)অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন কাজাকস্তান কিরঘিজস্তান, তাজাকিস্তান, তাজিকিস্তান, কুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানরা। বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানরাও জঙ্গিদের নিশানার সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে।
গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে পাকিস্তান অথবা আফগানিস্তানের কোনও জঙ্গি সংগঠনই এই হামলার পরিকল্পনা করছে। তাদের নিশানায় সরকারি আধিকারিকরাও থাকতে পারে। জঙ্গিদের নিশানায় থাকতে পারে দেশের ঐতিহ্যবাহী সৌধগুলিও। তবে গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন সাধারণতন্ত্র দিবসের জনসমাবেশের ওপরেও হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। ড্রোনের মাধ্যমে হামলার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না জঙ্গিরা।
গোয়েন্দাদের ইনপুটে বলা হয়েছে, লস্কর-ই-তৈবা, দ্যা রেজিস্ট্যান্স ফোর্স, জইশ-ই-মহম্মদ, হরকত-উল-মুজাহিদিন, হিজবুল-মুজাহিদিন-এর মত জঙ্গি সংগঠনগুলি ভারতে হামলার চক কষছে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট খালিস্তানি জঙ্গিদের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না ভারতীয় গোয়েন্দারা। বর্তমানে খালিস্তানপন্থিরা যথেষ্ট সক্রিয় বলেও দাবি করা হয়েছে। তাদের হামলার নিশানায় থাকতে পারে পঞ্জাব ও উত্তরের রাজ্যগুলি। খালিস্তানি জঙ্গিদের হাত থেকে দিল্লিও নিরাপদ নয় বলেও মনে করেছেন গোয়েন্দারা।
ইতিমধ্যেই ভারতেও কড়া সতর্কতা নিয়েছে জঙ্গিদের মোকাবিলা করার জন্য। কাশ্মীর বা মাওবাদী অধ্যুসিত এলাকায় সফল আধিকারিকদের নেতৃত্বে একটি তৈরি হয়েছে। দলের ৫০ জন সিআরপিএফ সদস্য রয়েছে। সেই দলই সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেবে। সূত্রের খবর এই বিশেষ প্রশিক্ষিত দলটি আইইডি বিস্ফোরণ চিহ্নিত করে তা নিস্ক্রীয় করতে পারে। দিল্লির আরও বেশ কিছু জায়গায় এই দল মোতায়েন থাকবে।
অন্যদিকে প্রতাজন্ত্র দিবসের ট্যাবলো নিয়ে বাংলা ও দিল্লির মধ্যে বিতর্ক অব্যাহত। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার পক্ষ থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনের একটি ট্যাবলো পাঠান হয়েছিল। অন্যদিকে তামিল নাড়ুর পক্ষ থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনকারী ভিও চিদাম্বরানারে ওপর তৈরি করা একটি ট্যাবলো পাঠান হয়েছিল। কিন্তু দুটি ট্যাবলো খারিজ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনই কেন্দ্রীয় সরকার খারিজ করে দিয়েছে।
UP Poll 2022: অখিলেশকে জোর ধাক্কা দিয়ে বিজেপিতে অপর্ণা যাবদ, মুলায়ম সিং-এর পুত্রবধূ তিনি
পেট্রাপোল সীমান্তে BSF-এর জোরদার তল্লাশি, দুদিনে ধরা পড়ল ৮২টি জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স