সংক্ষিপ্ত

মণিপুরে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। 

মণিপুরে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তাল ছিল মণিপুর।

এই কয়েক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আর এবার পূর্ব ইম্ফলের মাকউ পোরবিতে দুটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটির খোঁজ পেল পুলিশ। সেখান থেকেও বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, নথিপত্র এবং দুটি গাড়ি উদ্ধার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী।

নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ওই নিষিদ্ধ সশস্ত্র সংগঠনের নাম ‘কাংলেই ইয়াওল কাননা লুপ’(কেওয়াইকেএল) এবং ‘পিপল্স রেভলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাক’(প্রিপাক)। বুধবারই প্রিপাক-এর তিনজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এছাড়াও, পূর্ব ইম্ফলে ধরা পড়েছে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির গেরিলা বাহিনীর নজন সদস্যও। বুধবার, পূর্ব ইম্ফল থেকে নানা ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে আবার ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট ডিভাইসও রয়েছে। আর এরপরেই চর্চা শুরু হয়ে যায় নানা মহলে।

জঙ্গিরা কীভাবে এই যন্ত্রটি হাতে পেল, তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনা। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ইলন জানিয়েছেন, এই দাবিটি ভুয়ো। ভারতে ওই যন্ত্র ব্যবহারের কোনও সরকারি অনুমোদনই নেই। ফলে, জঙ্গিদের কাছে ওই যন্ত্র থাকার দাবিটি পুরোপুরি অমূলক। গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গোষ্ঠী হিংসায় উত্তাল হয়েছে মণিপুর।

তবে মাঝে কয়েকদিন বিরতির পর, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে।

এরপরেই রাজ্যের পাঁচটি জেলায় জারি করা হয় কার্ফু। এমনকি, ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে মঙ্গলবারই সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের বাড়ির অদূরে বোমা পাওয়া গেছে। তারপরেই আঁটোসাঁটো করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তাও।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।