সংক্ষিপ্ত
- সংসদের ১ নম্বর গেটে তৎপর নিরাপত্তাবাহিনী
- বন্দুক নিয়ে পজিশন নিল বাহিনী
- জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় তৎপর নিরাপত্তাকর্মীরা
- ২০০১ সালে সংসদভবনে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে
সোমবার থেকে রাজধানী দিল্লিতে সংসদভবনে শুরু হয়েছে দ্বিতীয়দফার বাজেট অধিবেশন। প্রথম দিন থেকেই দিল্লি হামলা, নাগরিকত্ব আইন সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে বিরোধী শিবির। এরমধ্যে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কায় মঙ্গলবার সকালে সংসদ ভবন চত্বরে তৎপর হয়ে উঠল নিরাপত্তাবাহিনী।
এদিন সকালে সংসদের একনম্বর গেটে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। ২০০১ সালে সংসদভবন চত্বরে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তেমন কোনও কিছু ঘটেছে কিনা সেই আশঙ্কায় সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। গাড়িটির দিকে বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যায় বাহিনী।
যদিও পরে অবশ্য জানা যায় বিজেপি সাংসদ বিনোদকুমার সোনকরের গাড়ি ভুল করেই সংসদ ভবনের সামনে লাগানো বুম বেরিয়ার ভেঙে ফেলেছে। যার ফলে গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: তাজমহলের শহরে এবার অধরা হোলির মজা, জারি থাকবে ১৪৪ ধারা
এরকমি ঘটনা ঘটেছিল গতবছর ফেব্রুয়ারি মালে। সেবার কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ ডক্টর থোকচম মেনিয়ারের গাড়ি সংসদ চত্বরে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছিল। সেবারও এই ঘটনার পর বিপদের আশঙ্কায় সাইরেন বাজতে শুরু করে। যদিও ঘটনার সনময় ওই গাড়িতে ছিলেন না মণিপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণ, ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত
২০১৮ সালের ডিসেম্বরেও সংসদ চত্বরে এমন একটি ঘটনা ঘটে। সেবার একটি ট্যাক্সি ব্যারিকেড ভেঙে সংসদের এন্ট্রি পয়েন্টে চলে আসে। ২০০১ সালে আত্মঘাতী হামলার পর থেকেই সংসদভবনের নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৫ আত্মঘাতী জঙ্গি ঢুকে পড়েছিল ৬ একর জমির ওপর ছড়ানো সংসদভবন চত্বরে। জঙ্গিদের হাতে ছিল এক-৪৭ ছাড়াও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। প্রায় ২০ মিনিট ধরে সংসদভবন চত্বরে সেবার গুলির লড়াই লড়েছিল দুই তরফের। যাতে প্রাণ হারান ৯ জন। জঙ্গিদের ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয় নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে। একজন নিজেকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়।