DA দেওয়া হল না কেন? সুুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য, জানুন শুনানির দিন
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলাটি উঠেছিল শুনানির জন্য। রাজ্য সরকারকে ডিএ বকেয়া ২৫% DA দেওয়ার জন্য আরও ৬ মাস সময় দেয় না দ্রুত মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।

'সুপ্রিম' প্রশ্ন
কেন নির্দেশ সময়ের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দেওয়া হল না? সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা উঠতেই এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকাল। এই মামলার শুনানি প্রতিদিন হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শুনানির বেঞ্চ
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলাটি উঠেছিল শুনানির জন্য। রাজ্য সরকারকে ডিএ বকেয়া ২৫% DA দেওয়ার জন্য আরও ৬ মাস সময় দেয় না দ্রুত মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। অন্যদিকে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিএ না দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এবার থেকে নিয়মিত হবে ডিএ মামলার শুনানি।
রাজ্যের আর্জি
এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, আগামি সপ্তাহের সোমবার এই মামলার শুনানি হোক। অন্যান্য পক্ষও শুনানির জন্য সময় চায়। কারণ সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়ে দিয়েছে তারা একসঙ্গে পুরো ডিএ মামলা শুনবে। সেই কারণেই প্রস্তুতির জন্য সময় চেয়েছিল বাকি সব পক্ষ। সরকারি কর্মীদের একাংশের উকিল করুণা নন্দী বুধবার শুনানির জন্য সময় চান।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন. 'কেন সব পক্ষ ডিএ মামলার শুনানির জন্য প্রস্তুত নয়?' বিচারপতি সঞ্জয় করোল রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, 'আজ সন্দেহজনক দিন। আমরা এখনই পুরো মামলার শুনানি করব। আপনি সওয়াল করুন '। তাতেই একাধিক পক্ষ নিমরাজি হয়।
সময় দিতে চেয়েছিল কোর্ট
এরপরই বিচারপতি ডিএ মামলার শুনানির জন্য কোন পক্ষ কত সময় চায় তা জানতে চায়। প্রয়োজনে কিছুটা সময় দিয়ে সোমবারই বেলা ১২টা থেকে শুনানি শুরু করার কথা বলেছিল। কিন্তু তাতেই রাজি হয়নি। তারপরই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় মঙ্গলবারই হবে এই মামলার শুনানি।
ডিএ-র পরিমাণ
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। এপ্রিল মাসেই রাজ্য বাজেটের সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪% ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ৫৫ শতাংশ হারে ডিএ পান। রাজ্য ও কেন্দ্রের কর্মীদের মধ্যে ডিএ-র ফারাক প্রায় ৩৭ শতাংশ। রাজ্যের কর্মীরা কেন্দ্রের সঙ্গে সমহারে ডিএ দাবি করেছেন।

