সংক্ষিপ্ত
বাজেট অধিবেশনে গোটা দেশের নজর কড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীল রঙের জ্যাকেট। জ্যাকেটের প্রস্তুতকারক সেন্থিল শঙ্কর এশিয়ানেট নিউজের মুখোমুখি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সম্প্রতি সংসদে একটি নীল রঙের প্ল্যাস্টিকের জ্যাকেট পরেছিলেন। সংসদে বাজেট অধিবেশনে তাঁর জ্যাকেট বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। সেই বিশেষ জ্যাকেটের প্রস্তুতকারক সেন্থিল শঙ্কর। এশিয়ানেট নিউজের মুখোমুখি হয়ে তিনি তাঁর তৈরি বিশেষ জ্যাকেটের ওপর আলোকপাত করলেন। সেন্থিল শঙ্কর, শ্রী রেঙ্গা পলিমারের ম্যানেজিং পার্টনার।
টেকসই পোশাকের ধারনা
সেন্থিল শঙ্করের বক্তব্যঃ
আমরা পুনর্ব্যহৃত পলিয়েস্টারের প্রস্তুতকারক ছিলাম। গত ১৫ বছর ধরে সেই কাজই করছি। আপনা PET বোতল নিই, সেইগুলিকে পলিয়েস্টর ফাইবারে পরিণত করি। তাহলে সেই ফাইবারটি সুতো, তারপর ফ্যাবরিকে ও পোশাকে রূপান্তর হয়। আমরা গার্মেন্টস চেইন পর্যন্ত করেছি। তারপর ব্র্যান্ডের পরিচয় ও টেকশই ফ্যানাসের বার্তা দেওয়ার পরিকল্পনা আসে। টেকসই থাকার ক্ষেত্রে ভারত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। একটি ব্র্যান্ড শুরু করা আর সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও লোকেদেরকে টেকসই ফ্যাশনের মধ্যে নিয়ে আসা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের উচিৎ সাধারণকে সচেতন করা , তারপরই পরিবর্তন আনা। এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে সবথেকে বেশি সমর্থন পেয়েছে। যা আমাজদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অনেক MSME লোককে অনুপ্রাণিত করেছেন।
জ্যাকেট তৈরির প্রক্রিয়া
সেন্থিল শঙ্করের বক্তব্যঃ
আপনারা যে প্ল্যাস্টিকের বোতলগুলি ফেলেদেন সেগুলি বাছাই করে মাণ্ডিতে দেয়। সেখানে বোতলগুলিকে সংকুচিত করাহয়। তারপর সেগুলি সাজান হয়। অর্থাৎ ক্যাপ ও মোড়ক সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সেপুলওয়ামা হামলার চার বছর পার, ফিরে দেখা রক্তাক্ত উপত্যাকার রাজপথের নির্মম কাহিনি
গুলি ফ্ল্যেক্সে চূর্ণ করা হয়। ফ্লেকগুলি তারপর শুকনো করে গলিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে ফাইবারে তা পরিণত হয়। একবার এটি পুনর্ব্যবহৃত পলিয়েস্টার ফাইবারে তৈরি হয়ে গেলে, এটিকে প্রচলিত টেক্সটাইল প্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়, যার মধ্যে সুতা এবং ফ্যাব্রিক অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং তারপরে পছন্দসই আকারে কাটা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ
সেন্থিল শঙ্করের বক্তব্যঃ
প্রধানমন্ত্রী নিজেই এই জ্যাকেটটি বেছে নিয়েছিলেন। আমরা তাঁকে বেশ কয়েকটি জ্যাকেট দিয়েছিলান। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন ইন্ডিয়া উইক সপ্তাহের জন্যই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এর আগে আমরা চন্দন রঙের একটি জ্যাকেট হরদীপ সিং পুরীকে উপহার দিয়েছিলাম। তিনি সেটি ব্যবহার করেছিলেন। অনেকেই তার তারিফও করেছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রচুর প্রোটোকল রয়েছে। আমাদের বিভিন্ন ফ্যাব্রিক ও রঙ পাঠাতে হয়েছিল। বেশ কয়েকটি পরীক্ষার পরই এটি চূড়ান্ত করা হয়েছিল। আমরা ৯টি রঙের জ্যাকেট দিয়েছিলাম। তারা নীলটি বেছে নিয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানেই ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশেনর চেয়ারম্যান মোদীকে এই জ্যাকেট উপহার দেন। আমরা খুব অবাক হয়েছিলাম। আমি আমার কর্মীদের সাথে একটি বৈঠকে ছিলাম যখন আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং মিডিয়া আমাকে পিং করতে শুরু করেছিল এবং বলেছিল যে তিনি এটি সংসদে পরেছিলেন বলে এটি ভাইরাল হয়ে গেছে। এটি একটি অপ্রতিরোধ্য অনুভূতি ছিল. প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদারতা তাকে এমএসএমই কোম্পানিগুলির কাজকে সম্মান করতে বাধ্য করেছে। তিনি তার কাজ দিয়ে আমাদের উৎসাহিত করেছেন এবং পরিবেশ ও টেকসইতার জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত সক্রিয় এবং প্রগতিশীল নেতা। তার একটি কাজ এবং কোন শব্দ আমাদের কাছে অনেক অর্থবহ।
ভারতের প্ল্যাস্টিক পরিস্থিতি মোকাবিলার পদ্ধতি
সেন্থিল শঙ্করের বক্তব্যঃ
প্ল্যাস্টিকের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। প্ল্যাস্টিক প্রয়োজন। কিন্তু তার একটি সঠিক নিষ্পত্তিও প্রয়োজন। আমরা নাগরিক হিসেবে আমাদের বর্জ্য পৃথক ও নিষ্পত্তি করতে হবে। প্ল্যাস্টিক বাছাই থেকে শুরু করে তার নিষ্পত্তি ও তার প্রসেস সবটাই একা হাতে করা সম্ভব নয়। তাই সরকার ও জনগণেরও প্রয়োজন রয়েছে।
ভবিষ্যৎ প্রকল্প
সেন্থিল শঙ্করের বক্তব্যঃ
আমরা শুধু অনলাইনে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টে রয়েছে। আগামী দিনে খুচরো বিক্রির চিন্তাভাবনা রয়েছে। সেই বার্তাই গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
পুলওয়ামা হামলার চার বছর পার, ফিরে দেখা রক্তাক্ত উপত্যাকার রাজপথের নির্মম কাহিনি