সংক্ষিপ্ত

সাংবাদিকদের এডিজিপি কুমার আরও জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী জইশ-ই-মুহাম্মদকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাঁদের বেশিরভাগ শীর্ষ কমান্ডারকেই নিরপেক্ষ করা হয়েছে।

অন্ধকার সেই অধ্যায়ের চার বছর পার। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। ভালোবাসার দিনেই ঝড়ে যায় প্রায় ৪০টি প্রাণ। পুলওয়ামায় সেনা বাহিনীর গাড়িতে জঙ্গি হামলার সেই ভয়াবহ স্মৃতি আজও জ্বলন্ত। আজ পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার চতুর্থ বার্ষিকীতে নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কাশ্মীর জোনের এডিজিপি (অ্যাডিশানাল ডায়েরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ) বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের হামলায় জড়িত ১৯ জন সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে নিহত হয়েছেন আট জন। সাত জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তিনজন পাকিস্তানি-সহ মোট চারজন এখনও জীবিত। সাংবাদিকদের এডিজিপি কুমার আরও জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী জইশ-ই-মুহাম্মদকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাঁদের বেশিরভাগ শীর্ষ কমান্ডারকেই নিরপেক্ষ করা হয়েছে।

পুলওয়ামা হামলার চার বছর পর ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নিতহ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কাশ্মীর জোনের এডিজিপি (অ্যাডিশানাল ডায়েরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ) বিজয় কুমার। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,'বর্তমানে, জেএম-এর মাত্র সাত-আট জন স্থানীয় এবং পাঁচ-ছ'জন সক্রিয় পাকিস্তানি রয়েছে। যার মধ্যে নাম রইয়েছে মোসা সোলাইমানি (ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী)। পুলিশ তাঁদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।' এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন,'বর্তমানে মোট ৩৭ জন স্থানীয় সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে এবং তাদের মধ্যে মাত্র দু'জন - ফারুক নাল্লি এবং রিয়াজ চাত্রী -এর পুরনো লোক। বাকি প্রত্যেকেই সম্প্রতি যোগদান করেছে।' বিজয় কুমারের সংযোজন, পুলিশ শুধু সন্ত্রাসী মডিউলই ধ্বংস করছে না বরং মাদক-সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধেও কাজ করছে। তাঁর কথায়,'আমরা ৪১ লক্ষ টাকা পুনরুদ্ধার করেছি। সম্প্রতি বারামুল্লায় ২৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ওজিডব্লিউ (ওভার-গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্স) এর বিরুদ্ধে নথিভুক্ত মামলা দ্রুত গতিতে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। বিজয় কুমারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এই ধরনের মামলার সংখ্যা অনেক কমেছে। ১৬০০ থেকে কমে মামলার সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৯৫০-এ। এখনও পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে।

সারা বিশ্বের কাছে ভালোবাসার দিন হিসেবে পরিচিত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের ইতিহাসে লেখা থাকবে কালো দিন হিসেবে। এই দিনই ভারতের সীমান্তে ঝড়ে গিয়েছিল প্রায় ৪০টি প্রাণ। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বোমা হামলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ে। ঘটনায় নিহত হন প্রায় ৪০ জন কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স কর্মী। পরবর্তীকালে পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করেছিল।

আরও পড়ুন - 

রাহুল গান্ধীর বারাণসী-র বিমান বাতিল বিতর্কে পাল্টা জবাব, কংগ্রেসের অভিযোগে ছক্কা হাকালো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ

ভালোবাসা দিবসেই শহীদ হয়েছিলেন পুলওয়ামায় কর্তব্যরত ভারতীয় সেনারা, তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

দোকানে কিছু কিনতে গেলেই ফোন নম্বর দিয়ে ফেলবেন না, সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর