করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন ফাইজারের পর আবেদন জানায় সেরাম আর ভারত বায়োটেক  বুধবার ছিল গুণগত মান নির্ধারণের বৈঠক 

সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও ভারত বায়োটেকের আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। দেশের প্রথম সারির একটি সংবাদ মাধ্যমে তেমনই দাবি করা হয়েছে। দুটি সংস্থাই তাদের তৈরি প্রতিষেধক জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে। কিন্তু তাদের এই আবেদন খারিজ হয়ে গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এই খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। এটি মোটেও সত্য নয় বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সকার। পিআইবি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে খরবটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

Scroll to load tweet…


করোনাভাইরাসের মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে প্রথমে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনালেরের দ্বারস্থ হয়েছিল ফাইজার ইনক। তারপরের দিনেই আবেদন জানিয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রোজেনের বিকাশ করা করোনা টিকা তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ দেশীয় এই সংস্থাটি। পরের দিনই আবেদন জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন বিকাশ করছে তারা। তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে তাদের তৈরি করোনা টিকার। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে প্রতিটি আবেদন খতিয়ে দেখা শুরু হয় বুধবার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কোনও রকম চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়নি। 

Scroll to load tweet…

খবরে দাবি করা হয়েছে ভারত বায়োটেক ও সেরাম ইনস্টিউটের আবেদন না মঞ্জুর হয়েছে। কিন্তু এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার তরফে। তবে একটি সূত্র বলছে টিকা আবেদনগুলি পরীক্ষা করার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আর প্রক্রিয়াটি খুবই দীর্ঘ। কমিটি সুপারিশ করতে পারবে। মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ডিসিজিআই। তবে দুটি সংস্থার তথ্যের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। উভয় সংস্থার কাছ থেকে পর্যাপ্ত ডেটা চাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি।