আরও সহজ হবে পরিষেবা, ২০২৬-র শুরুতেই বদল হবে ব্যাঙ্কের একাধিক নিয়ম, জেনে নিন বিস্তারিত
RBI ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আনতে চলেছে, যা ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হতে পারে। এই খসড়া নিয়মে গ্রাহক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে লকার সুরক্ষায় ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি, সাইবার জালিয়াতিতে গ্রাহকের দায় শূন্যর মতো সুবিধা থাকবে।

দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আসছে বিরাট বদল। বড় ধরনের সংস্কার আনতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। ইতিমধ্যে RBI জনসাধারণের জন্য ২৩৮টি নতুন ব্যাঙ্কিং নিয়মের খসড়া প্রকাশ করছে। আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে এই বিষয় পরামর্শ চেয়েছে। তা পাশ করতে ২০২৬ সালের প্রথমেই কার্যকর হবে। ফলে বিরাট বদল দেখতে চলেছেন সাধারণ মানুষ।
এই প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করা যাবে গ্রাহক সুরক্ষা বৃদ্ধি করা, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সহজ করা এবং ব্যাঙ্কগুলোর জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে। ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে ১ এপ্রিল ২০২৬-র মধ্যে এই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে।
যদি কোনও গ্রাহকের লকার থেকে চুরি হয়ে যায় বা ব্যাঙ্কের অবহেলা বা নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে লকার ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ব্যাঙ্ককে লকার ভাড়ার ১০০ গুণ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তেমনই আপনার বয়স ৭০ বছরের বেশি হলে এবার থেকে ব্যাঙ্কে যাওয়ার দরকার হবে না। পরিবর্তে ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানের জন্য তাঁদের বাড়ি যাবে।
সাইবার জালিয়াতির ওপর কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। যদি কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সাইবার জালিয়াতির শিকার হয় এবং গ্রাহক ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট করে সেক্ষেত্রে তাঁর দায় শূন্য বলে বিবেচিত হবে। এর অর্থ হল গ্রাহকের কোনও ক্ষতি হবে না। যদি ব্যাঙ্কগুলো এই ধরনের ক্ষেত্রে সময়মতো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, তাহলে ওই ব্যাঙ্কের ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।
এবার KYC প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হয়েছে। সাধারণ অ্যাকাউন্টের জন্য প্রতি ১০ বছরে একবার KYC প্রয়োজন। মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাকান্টের জন্য ৮ বছরে একবার KYC প্রয়োজন। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাকাউন্টের জন্য ২ বছরে একবার KYC প্রয়োজন।
লোন সম্পর্কিত বিষয় আসতে চলেছে বল। স্বাচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিটি ব্যাঙ্কের সুদের হার নির্ধারণের জন্য অভিন্ন সূত্র গ্রহণ করা হবে।
