সংক্ষিপ্ত
- অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারির প্রতিবাদ
- কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা করেন
- নিশানা করেন কংগ্রেসকেও
- মুখ খুলেছেন শিবসেনা নেতারাও
রিপাব্লিক টিভির এডিটর অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। পুরনো একটি মামলার জেরে মঙ্গলবার ভোররাতে বাড়িতে ঢুতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অর্ণব গোস্বামীকে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি পুলিশ ভ্যান থেকেই জানিয়ে দেন তাঁর গায়ে হাত তুলেছে পুলিশ কর্মীরা। তিনি বলেন তাঁকে মারধর করা হয়েছে। একই অভিযোগ করেন তাঁর আইনজীবী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন দুই পুলিশ অফিসার অর্ণব গোস্বামীকে হেনস্থা করেছেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারি নিয়ে তাঁর স্ত্রীকেও কিছু জানান হয়নি। মহারাষ্ট্র পুলিশের এই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কেন্দ্রী মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভাড়েকর পুরো বিষয়টাকেই জরুরি অবস্থার ছায়া হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় যাঁরা বিশ্বাস করেন তাঁদের এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলা অত্যান্ত জরুরি। মহারাষ্ট্র সরকারের নিন্দা করে তিনি বলেন, এই ঘটনা জরুরি অবস্থার দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও সরব হন অর্ণব গোস্বামী ইস্যুতে। তিনি বলেন, আর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারির প্রতিবাদ করতে হবে। কারণ এই ঘটনা সংবাদ পত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা। আজ অর্ণব গোস্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন থেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদে রুখে না দাঁড়ালে আগামী দিনে দেশের যেকোনও মানুষকে গ্রেফতার করা হতে পারে। সেই তালিকায় আপনিও থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পুরো বিষয়টিকে ফ্যাসিবাদী আচরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিজেপি নেত্রী।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী বলেন কংগ্রেসের মানসিকতার কোনও পরিবর্তন হয়নি। জরুরি অবস্থার সময় তারা যেমন আচরণ করছে এখনও তার কোনও হেরফের হয়নি। অর্ণব গোস্বামী একটি জাতীয়তাবাদী কণ্ঠস্বর বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তবে বিরোধীদের এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তিনি বলেন, আইন মেনেই কাজ করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন কোনও ব্যক্তি আইনের উর্ধ্বে নয়। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতও বিষয়টি নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহারাষ্ট্রের পুলিশ আইন মেনেই প্রতিটি পদক্ষেপ করেছেন। পুলিশের কাছে যদি পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকে তাহলে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে গ্রহণ করবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন,মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে সারকার গঠনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত পুলিশকে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করা হয়নি।