সংক্ষিপ্ত

সোনিয়া গান্ধী রায়পুরে একটি ভাষণ দেন, সেখানে সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন যে তার রাজনৈতিক ইনিংস ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যে দিয়ে শেষ হতে পারে।

কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন না। সোনিয়া গান্ধী বলেছেন যে তিনি কখনও রাজনীতি থেকে অবসর নেননি, ভবিষ্যতে কখনও তিনি থাকবেন না। সোনিয়া গান্ধীর অবসর গ্রহণ প্রসঙ্গে এমনই জানালেন কংগ্রেস নেতা আলকা লাম্বা। তিনি বলেছেন যে তিনি যখন সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তখন তিনি জবাব দিয়েছিলেন যে আমি কখনও অবসর নিইনি, না আমি কখনও তা নেব। এমন ঘটনা কখনও ঘটবে না।

সোনিয়া গান্ধী রায়পুরে একটি ভাষণ দেন, সেখানে সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন যে তার রাজনৈতিক ইনিংস ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যে দিয়ে শেষ হতে পারে। তিনি বলেছেন যে যাত্রাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব তাঁর রাজনৈতিক জীবনে যোগ করেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে দেশের মানুষ ধর্মের উর্দ্ধে উঠে সম্প্রীতি, সহনশীলতা এবং সাম্য চায়। সেটা একমাত্র তাদের দিতে পারে কংগ্রেস। কারণ দেশের সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করছে বিজেপির ধর্মীয় বিভেদ। আর কি বলেন সোনিয়া, দেখে নিন-

১. সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, 'এটি কংগ্রেস এবং পুরো দেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং সময়। বিজেপি-আরএসএস দেশের প্রতিটি সংস্থাকে দখল করেছে এবং এটিকে নিজেদের স্বার্থে কাজ করাচ্ছে। যা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে চুরমার করে দিচ্ছে।

২. সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে উপকৃত করে অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছে। কংগ্রেস পার্টি অনেক অর্জন করেছে, এমনকি একটি ভাল সময়ও দেখেছে, অনেক অর্জন করেছে, তবে এখন এটি একটি কঠিন সময়কালের মধ্য দিয়ে চলেছে।

৩. সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, 'দেশে বিদ্বেষের কারণে মহিলা, আদিবাসী, দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়েছিল। এটি নির্মূল করা আমাদের দায়িত্ব। কংগ্রেস কেবল একটি দল নয়, এটি একটি ধারণা এবং তাই বিজয় কেবল আমাদের হবে।

৪. সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, '২০০৪ এবং ২০০৯ সালে আমাদের জয়ের পাশাপাশি মনমোহন সিংয়ের দক্ষ নেতৃত্ব আমাকে ব্যক্তিগত সন্তুষ্টি দিয়েছেন, তবে আমি সবচেয়ে খুশি হয়েছি যে আমার ইনিংসটি ভারত জোড়ো যাত্রার সঙ্গে শেষ হতে পারে।, যা কংগ্রেসের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব।

৫. কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, 'মল্লিকার্জুন খার্গের রাজনীতির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং এত কঠিন সময়ে কংগ্রেস পার্টির তাদের সভাপতিত্বের সময়কালের প্রয়োজন। আমরা মল্লিকার্জুন খার্গের সভাপতিত্বে এই কঠিন সময়টি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব।