সংক্ষিপ্ত
এক মোমোতেই খুলে গেল জট। জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নিখোঁজ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় জীবিত পাওয়া গেল তাঁকে।
দিনের সেরা চকম বলতেই পারেন! বিহারের বাসিন্দা যাকে তাঁর পরিবার বেশ কয়েক দিন ধরেই মৃত বলে ধরে নিয়েছিল তাঁকেই হঠাৎ ভারতেরই অন্য একটি রাজ্য থেকে উদ্ধার করা হল। তাও আবার বহাল তবিয়েতে- মোমো খাচ্ছিলেন তিনি। যা নিয়ে রীতিমত সরগরম বিহার আর উত্তর প্রদেশ। কারণ মৃত্য বলে যাঁকে ধরে নেওয়া হয়েছিল তিনি নিশান্ত কুমার বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের নয়ডা থেকে।
নিশান্ত কুমার বিহারের বাসিন্দা, চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর অন্তর্ধান নিয়ে রীতিমত রহস্য দানা বেঁধেছে। কারণ তাঁর বাবা সচিদানন্দ সিং সুলতানগ়ঞ্জ থাকায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি তাঁকে অপরহরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। নিশান্তের শ্যালক রবিশঙ্কর সিং ও শ্বশুর নবীন সিংকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে অত্যাচার, মারধর আর অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। নিশান্তের পরিবার ধরে নিয়েছিল তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু নিশান্তে শ্যালকই ভিন রাজ্য থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন।
যাইহোক কথায় আছে ভাগ্যের মার শেষরাতে! রবিশঙ্কর সম্প্রতি বিহার থেকে নয়ডায় এসেছিলেন। সেখানেই একটি দোকানে মোমো বিক্রির কাজ নেন। সেখেনেই তিনি দেখেন, এক ভিক্ষুক দোকানদারের থেকে মোমো চাইছিল। ভিক্ষুক জানিয়েছিল সে ক্ষুধার্ত। কিন্তু দোকানদার খাবার না দিয়ে পাল্টা মারধর করেন। রবিসঙ্কর দেখন ভিক্ষুকের দীর্ঘ দাড়, ছেড়ে কাপড়। করুণ দশা। মায়া হয় তার। সেই মোমোর টাকা দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তারপর ভিক্ষুককে একপ্লেট মোমো দেয়। সেখানেই ভিক্ষুকের সঙ্গে আলাপ জমায় রবি। নামধাম জানতে চায়।
তাতেই সামনে আসে আসল সত্য। নিশান্ত নিজের নাম জানায়। পাশাপাশি বলে সে ধ্রুবগঞ্জের বাসিন্দা। তারপর আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে রবিশঙ্কর পুলিশকে খবর দেয়। নিশান্তকে দ্রুত সেক্টর ১৩ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ সুলতানগঞ্জের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্তঘটনা জানায়।
রবি জানিয়েছেন নিশান্ত একজন ভুলো ও খামখেয়ালি মানুষ। তাঁর মানসিক সমস্যা ছিল। এই অবস্থায় নিশান্তের পরিবার প্রায়ই তাঁর ওপর অত্যাচার করত। অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে নিশান্ত ঘর ছাড়ে। কিন্তু তার দোষ দিয়ে পড়ে রবি ও তাঁর পরিবারের ওপর। দোষের বোঝা বইতে না পেরে নিশান্তের শ্বশুর অসুস্থ হয়ে মাররা যায়। রবিরও নিজের গ্রামে একঘরে হয়ে যায়। তারপরই কাজের সন্ধানে বিহার ছেড়ে উত্তর প্রদেশে পাড়ি দেয়। এই অবস্থায় সেখানেই আবার দেখা পায় নিশান্তের।
রবির একটাই আশা আদালতে তারা ন্যায় বিচার পবে। দেশের আইনের ওপর তার রীতিমত ভরসা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও জানান নিশান্তের বাড়ির লোকেরাদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ হয় তারও আবেদন তিনি জানাবেন আদালতে। কারণ নিশান্তের বাড়ির লোকেদের কারণে তাদের গোটা পরিবারতে নানাভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
নবান্নে মমতার দরবারে নওশাদ সিদ্দিকি, TMC-ISF সংঘর্ষে রীতিমত উত্তপ্ত ভাঙড়
মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত তাই দেখা করেননি, নবান্নে থেকে বেরিয়ে বললেন আইএসএফ বিধায় নওশাদ সিদ্দিকি
10 mysteries in the abyss, unsolved phenomena in the ocean - see in pictures