সংক্ষিপ্ত

সোমবার আফতাব পুনাওয়ালার নার্কো টেস্ট হবে। তবে তার আগে একটি ছোট্ট পরীক্ষা হবে। সেই পরীক্ষা পাশ না করলে নার্কো টেস্ট থেকে রেহাই পাবে অভিযুক্ত।

মাঝে মাত্র আর একটা দিন। সোমবারই হবে শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের অন্যতম অভিযুক্ত আফতার আমিন পুনাওয়ালার নার্কো টেস্ট। সম্ভবত বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালেই আফতাবের নার্কো টেস্ট করা হবে। আফতাবকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদাতল। যা শেষ ববে মঙ্গলবার। তার আগের দিনই নার্কো টেষ্ট করে ফেলতে বদ্ধ পরিকর দিল্লির পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর নার্কো পরীক্ষার আগে আফতাব পুনাওয়ালার আরও একটি পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকরা জানার চেষ্টা করবেন আফতাব নার্কো টেস্টের জন্য সক্ষম কিনা। তার মানসিক অবস্থা নার্কো টেস্টের ধকল সহ্য করতে পারবে কিনা- এই সব খতিয়ে দেখে তবেই নার্কো টেস্টে করা হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানান হয়েছএ, 'আমরা এখনও পরীক্ষার জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাইনি। তবে মঙ্গলবার যদি হেফাজতের দিন শেষ হয় তাহলে তার আগেই এই পরীক্ষা করাতে হবে। আমরা আদালতের নির্দেশ মেনে চলব। তবে এখনও কোনও তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।' এফএসএল টিমও নার্কো টেস্ট যুক্ত হবে। তবে একজন মেডিকেল অফিসার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মানসিক ও শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে তবেই নার্কো টেস্টের অনুমতি দেবে। তারপরই পরীক্ষা শুরু করা যাবে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে কিনা, তা জানার পরই এই পরীক্ষা করা হয়। সূত্রের খবর আফতাবের কোনও মানসিক ও শারীরিক সমস্যা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবে চিকিৎসকরা। কারণ এই পরীক্ষার জন্য শক্তিশালী ওষুধ শরীরে প্রয়োগ করা হয়। আর সেক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি অশুস্থ থাকে তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রথম পরীক্ষার সময় পুনাওয়ালা যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে নার্কো টেস্ট করা যাবে না।

নার্কো টেস্টঃ

পুরো কথা হল নারকোঅ্যানালাইসিস টেস্ট।

পরীক্ষা পদ্ধতিঃ

সোডিয়াম পেন্টোথাল নামের একটি ড্রাগ অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করান হবে। এই ওষুধের কারণে কিছুটা হলেও সম্মহনী বা অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাবে অভিযুক্ত। এই অবস্থায় অভিযুক্ত মিথ্যা কথা বলতে পারবে না। আফতাব পুলিশের জেরায় সত্য কথা বলবে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

সোডিয়াম পেন্টোথাল- এই একটি ওষুধ- যার মাধ্যমে যে কোনও মানুষকে দ্রুত অজ্ঞান করে দেওয়া হয়। এটি সাধারণত অপারেশনের সময় রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয়। এটি বারবিটুরেট শ্রেণীর ওষুধ। যা স্নায়ুতন্ত্রকে অবসন্ন করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ওষুধ প্রয়োগ করতে অভিযুক্ত কখনই মিথ্যা কথা বলার মত অবস্থায় থাকে না। তবে অনেকক্ষেত্রে এই পরীক্ষা সত্ত্বেও অভিযুত্ত মিথ্যা কথা বলতে পারে।