SIR-এ ৪ কোটি নাম বাদ! রীতমত উদ্বেগ হয়ে বিজেপি নেতাদের বড় নির্দেশ যোগীর
SIR নিয়ে একাধিকবার মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের মধ্যে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু SIR প্রক্রিয়া শুধুমাত্র বিরোধীদের নয়, শাসক দলেরও রক্তচাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তেমনই বলছে রাজনৈতিক মহল

SIR উদ্বেগ
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে চলছে ভোটার তালিকার নিবিড়় সংশোধন। SIR নিয়ে একাধিকবার মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের মধ্যে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু SIR প্রক্রিয়া শুধুমাত্র বিরোধীদের নয়, শাসক দলেরও রক্তচাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তেমনই বলছে রাজনৈতিক মহল
উত্তরপ্রদেশে উদ্বেগ
সূত্রের খবর SIR নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে উত্তরপ্রদেশে। যোগী রাজ্যে নাকি ৪ কোটি নাম বাদ পড়তে পারে SIR-এর জন্য। তেমনই জানা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মধ্যে। ইতিমধ্যেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
যোগী সরকারের বৈঠক
SIR নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। সেখানেই গ্রামে গ্রামে দিয়ে বিজেপি নেতা ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে নির্দেশ দিয়েছেন। ভোটারদের ভেরিফিকেশনে সাহায্য করতে নির্দেশ দিয়েছে। যেসব ভোটারদের নাম বাদ যেতে পারে তাদের খুঁজে বার করতে নির্দেশ দিয়েছে। তাদের সমস্যা সমাধানে বিজেপি নেতাদের নির্দেশও দিয়েছেন।
কাদের নাম বাদ?
BJP সূত্রের খবর যে ৪ কোটি ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যোগী সরকার তাদের অধিকাংশই বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপির এক মন্ত্রী বলেছেন, গ্রাম ও শহর - দুই জায়গাতেই নাম ছিল এমন ভোটারদের নাম বাদ যাওয়াতেই সংখ্যা অনেক বেশি।
উত্তরপ্রদেশে সময়সীমা বৃদ্ধি
শেষ পর্যায়ে উত্তরপ্রদেশের জন্য নির্বাচন কমিশন সবথেকে বেশি মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে এসআইআর-এর জন্য। এই রাজ্যে ৩১ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর এই বাড়তি সময় বিজেপি নেতারা মাঠে নেমে কাজ করুন এমনটাই চাইছেন।
উলটপুরাণ উত্তরপ্রদেশে
এসআইআর নিয়ে বিরোধী শিবির ও বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতেই এতদিন উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। এই রাজ্যে প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ অন্যছবি দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী নেতা অখিলেশ যাদব। তিনি বলেছেন, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে গড়বড় করার জন্যই SIR-এ ডেডলাইন বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।

