সংক্ষিপ্ত

একে তো কাশ্মীর মানেই হানিমুনের পারফেক্ট ডেস্টিনেশন, তারওপর যদি সেখানে দেখা যায় তাজমহলের ছটা, তাহলে এ জীবনে দেখার বিশেষ কিছু বাকি থাকে কি?

বরফে মোড়া কাশ্মীরের সৌন্দর্য যে কোনও পর্যটকের কাছে স্বর্গ। সেই স্বপ্নের স্বর্গে যদি যোগ হয় তাজমহলের প্রেমগাঁথা, কেমন হবে ব্যাপারটা? ভাবছেন সে আবার কী? আগ্রার তাজমহল আর কাশ্মীর কি করে এক হবে ? হবে হবে, এই দুনিয়ায় ভাই সবই হয়, সব সত্যি। কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) পর্যটকদের (Tourist) ভ্রমণ সোনায় সোহাগা করে তৈরি হল বরফের তাজমহল (Snow sculpture of Taj Mahal), চোখ জুড়ানো সেই প্রেমের সৌধ (Monument of love) মন ভালো করে দিচ্ছে পর্যটকদের। একে তো কাশ্মীর মানেই হানিমুনের পারফেক্ট ডেস্টিনেশন, তারওপর যদি সেখানে দেখা যায় তাজমহলের ছটা, তাহলে এ জীবনে দেখার বিশেষ কিছু বাকি থাকে কি?

পর্যটন কেন্দ্র গুলমার্গে গ্র্যান্ড মুমতাজ রিসর্টস দ্বারা নির্মিত তাজমহলের একটি তুষার ভাস্কর্য গুলমার্গে আসা শত শত পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। হোটেল গ্র্যান্ড মুমতাজের সদস্যরা ট্যুর ডেস্টিনেশন গুলমার্গকে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় এবং স্মরণীয় করে তোলার লক্ষ্যে তাজমহলের প্রতিরূপ তৈরি করেছেন। বরফের তৈরি এই রেপ্লিকা অনেক স্থানীয় এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করছে।

 

শীতের মরসুমে গুলমার্গ বরফে ঢাকা। শীতকালীন ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য বিশেষ করে স্কিয়ার, স্নো বাইকার, স্লেজারপ্রেমীদের কাছে এই সময়টা গুলমার্গ আলাদা আকর্ষণের জায়গা। এই জায়গাটি খেলো ইন্ডিয়া সহ জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া ইভেন্টের মতো নানা ধরণের ইভেন্টের আয়োজন করেছে। 

সেখানেই তৈরি হয়েছে এই বরফের তাজমহল। ১৬ ফুট অর্থাৎ ৪.৯ মিটার লম্বা ভাস্কর্যটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ১৭ দিন। এখন এটি স্কিইংয়ের সুযোগের জন্য পরিচিত পর্যটন শহরে একটি অতিরিক্ত আকর্ষণ যোগ করেছে। প্রথমবার গুলমার্গে আসা এক পর্যটক জানাচ্ছেন "এখানে তাজমহলের এই তুষার ভাস্কর্যটি দেখার পর আমাদের খুব ভালো লেগেছে। এটি আমাদের ভ্রমণে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। এটা দেখে ভালো লাগছে যে গুলমার্গে এরকম একটি তাজমহল তৈরি হয়েছে।" 

আরও পড়ুন - Darjeeling Snow Fall Alert: বরফে ঢাকা রাস্তায় অপেক্ষা করছে বিপদ, সতর্ক করল দার্জিলিং পুলিশ

উল্লেখ্য, তাজমহল আগ্রায় মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রীর স্মরণে তৈরি করেছিলেন। এর নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে এবং শেষ হয়েছিল ১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে। এটি আগ্রায় যমুনা নদীর ডান তীরে হাতির দাঁত ও সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি সমাধি যা বিশ্বের নতুন সপ্তাশ্চর্যের একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।

এদিকে, কাশ্মীর উপত্যকায় কিছুদিন আগে পর্যন্ত 'চিল্লা-ই-কালান'-এর (Chilla-i-Kalan) কবলেছিল। কি এই 'চিল্লা-ই-কালান'? কাশ্মীর উপত্যকায় প্রতি বছরই ২১ ডিসেম্বর থেকে অন্তত ৪০ দিনের কঠোর শীতের পর্ব চলে, একেই বলা হয় 'চিল্লা-ই-কালান'। শৈত্য প্রবাহের কারণে এই সময় গোটা উপত্যকার তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। যার ফলে ডাল লেক এবং কাশ্মীর উপত্যকার বেশ কয়েকটি অংশে জলাশয়গুলি জমে বরফ হয়ে যায়। এমনকী, জল সরবরাহের লাইনগুলিতেও জল জমে যায়। ৩১ জানুয়ারি 'চিল্লা-ই-কালান' শেষ হয়। তবে তারও পরে চলে ২০ দিনের 'চিল্লাই-খুর্দ' (ছোট ঠান্ডা) (Chillai-Khurd) এবং ১০ দিনের 'চিল্লাই-বাছা' (আরও ছোট ঠান্ডা) (Chillai-Bachha)।