সংক্ষিপ্ত
একজন গ্রাহক অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস Swiggy-এ খাবারের অর্ডার দিয়ে একটি বার্তা লিখেছিলেন যে কোনো মুসলিম ব্যক্তির হাত থেকে খাবার পাঠাবেন না। এই গ্রাহকের অনুরোধের একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়।
ফুড ডেলিভারি অ্যাপ নিয়ে নানা বিতর্ক প্রায়ই সামনে আসে। অথচ ডেলিভারি বয়কে অনলাইনে খাবার সরবরাহ করতে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কখনও কখনও তাদের সাথে দুর্ভাগ্যজনক নানা ঘটনা ঘটে। এমনই একটি ঘটনা হায়দরাবাদে ঘটেছে। প্রকাশিত তথ্যে জানা গিয়েছে একজন ব্যক্তি তার খাবারের অর্ডার দেওয়ার পরে সুইগিকে মেসেজ করেন। এই মেসেজ ঘিরে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। তিনি লিখেছিলেন যে ডেলিভারি বয়টি যেন কোনওভাবেই মুসলিম না হয়। এই মেসেজের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই গ্রাহকের মেসেজের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে
ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে। এখানকার একজন গ্রাহক অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস Swiggy-এ খাবারের অর্ডার দিয়ে একটি বার্তা লিখেছিলেন যে কোনো মুসলিম ব্যক্তির হাত থেকে খাবার পাঠাবেন না। এই গ্রাহকের অনুরোধের একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ এই বার্তার কড়া সমালোচনা করেন।
এ ধরনের বার্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে, তেলেঙ্গানা রাজ্য ট্যাক্সি এবং ড্রাইভার JAC সভাপতি শেখ সালাউদ্দিন এই স্ক্রিনশটটি টুইটারে শেয়ার করেছেন যাতে সুইগিকে এই ধরনের বার্তাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তিনি লিখেছেন, এ ধরনের অনুরোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন। ডেলিভারি কর্মীরা এখানে প্রত্যেকের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য দায়িত্বে থাকেন, সে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ হোক।
আরেকটি ঘটনায়, হায়দরাবাদে একজন সুইগি গ্রাহক তার জন্য মুসলিম ডেলিভারি বয়ের নিয়ে আসা খাবার ফিরিয়ে দেন। গ্রাহক দাবি করেছেন যে তিনি ডেলিভারি নির্দেশে স্পষ্টভাবে লিখেছেন খুব কম মশলাদার খাবার হতে হবে ও হিন্দু ডেলিভারি বয়কে পাঠাতে হবে। সমস্ত রেটিং এর উপর ভিত্তি করে করা হবে। তবে তার কোনও শর্তই না মেনে নেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন।
আরও পড়ুন - বিদেশি মুদ্রায় ব্যাপক ঘাটতি, শ্রীলঙ্কার পর আর্থিক সঙ্কটে পড়তে পারে ভুটানও?
আপাতত এসব বিষয়ে সুইগির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। Swiggy এবং Zomato হায়দ্রাবাদের দুটি বিখ্যাত অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ। বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের খাবারের জন্য এই পোর্টালগুলির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কখনও কখনও এমন ঘটনা সামনে আসে যখন গ্রাহকদের অদ্ভুত মেসেজ বিতর্কের জন্ম দেয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও এরকম অনেক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালে, একজন ব্যক্তি অনলাইন খাবার ডেলেভারি অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম Zomato-এ তার অর্ডার বাতিল করার বিষয়ে টুইট করেছিলন কারণ মনোনীত রাইডার একজন "অ-হিন্দু" ছিলেন। গ্রাহকের প্রতিক্রিয়ায় কোম্পানিটি টুইট করেছিল, "খাবারের কোনো ধর্ম নেই, এটি একটি ধর্ম,"
আরও পড়ুন - এক ধাক্কায় ৩৮-৪০ টাকা বাড়ল জ্বালানির দাম, শ্রীলঙ্কার পথেই কি এগোচ্ছে বাংলাদেশ?
Zomato CEO দীপিন্দর গয়ালও এর প্রতিক্রিয়া জানান এবং ডেলিভারি ম্যানের সম্মানরক্ষা করেন। তিনি টুইট বার্তায় লেখেন "আমরা ভারতের ধারণা - এবং আমাদের সম্মানিত গ্রাহক এবং অংশীদারদের বৈচিত্র্য নিয়ে গর্বিত। আমাদের মূল্যবোধের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা কোনও ব্যবসা হারালেও আমরা দুঃখিত নই"।