সংক্ষিপ্ত
একজন এনআইএ আধিকারিক বলেছেন যে সংস্থাটি দাউদের ভাই আনিস ইব্রাহিম ওরফে হাজি আনিস, নিকটাত্মীয় জাভেদ প্যাটেল ওরফে জাভেদ চিকনা, শাকিল শেখ ওরফে ছোটা শাকিল এবং ইব্রাহিম মোশতাক আবদুল রাজ্জাক মেমন ওরফে টাইগার মেমনের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। জানা গেছে, জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অর্থাৎ NIA ইব্রাহিমের ওপর কে ২৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছে। এ ছাড়াও এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের সহযোগীদের ওপর পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। 'ডি' কোম্পানি সংক্রান্ত তদন্তে এই ব্যবস্থা নিয়েছে NIA। বিশেষ বিষয় হল ভারতে বহু জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ওয়ান্টেড দাউদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন এনআইএ আধিকারিক বলেছেন যে সংস্থাটি দাউদের ভাই আনিস ইব্রাহিম ওরফে হাজি আনিস, নিকটাত্মীয় জাভেদ প্যাটেল ওরফে জাভেদ চিকনা, শাকিল শেখ ওরফে ছোটা শাকিল এবং ইব্রাহিম মোশতাক আবদুল রাজ্জাক মেমন ওরফে টাইগার মেমনের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে। আধিকারিক জানিয়েছেন যে দাউদের উপর ২৫ লক্ষ টাকা, ছোটা শাকিলের উপর ২০ লক্ষ টাকা, আনিস, চিকনা এবং মেমনের উপর ১৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ সহ ভারতে অনেক মামলায় দাউদ ওয়ান্টেড। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দাউদ ছাড়াও লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিজ সইদ, জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার, হিজবুল মুজাহিদিনের সৈয়দ সালাহউদ্দিন এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবদুল রউফ আসগরও ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে।
আরও পড়ুন - স্কুলের মধ্যেই চলত 'জিহাদি' কার্যকলাপ! অসমে গুড়িয়ে দেওয়া হল আরও একটি মাদ্রাসা
একজন আধিকারিক জানিয়েছেন যে NIA এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একটি নতুন মামলা দায়ের করেছে। সংস্থাটি তথ্য পেয়েছিল যে ডি কোম্পানি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সহায়তায় ভারতে একটি বিশেষ ইউনিট তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে বড় রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর সাথে এজেন্সি এমন তথ্যও পেয়েছিল যে এর মাধ্যমে তারা সন্ত্রাসী ও স্লিপার সেলকেও সাহায্য করবে।
উল্লেখ্য একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, ড্রাগ পাচার, অস্ত্রপ্রচার-সহ একাধিক অভিযোগে দাউদকে অনেক আগেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দাউদ ইব্রাহিম সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এফআইআর-এ বলা হয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে দাউডের ডি কোম্পানি।
আরও পড়ুন - আগুনের স্ফুলিঙ্গ দমিয়ে যথারীতি ফর্মে ফিরল ভারতীয় বায়ুসেনার ‘চিনুক’
এর পাশাপাশি এফআইআর-এ আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে জামাত উদ দাওয়া, আল কায়দার মতো গোষ্ঠীও। এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে দাউডের ডি কোম্পানি। জানা গিয়েছে ভারত ছেড়ে যাওয়ার পর দাউদ এইমুহূর্তে ছোটা শাকিল, জাভেদ চিকনা, ইকবাল মির্চিদের লোকেদের সাহায্যে তাঁর নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে।