সংক্ষিপ্ত
বুধবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে গত বছর এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের তুলনায় এবছর এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ১৩.৫ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে ফের গতি পেয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির হার।
ভারতের মুকুটে জুড়তে চলেছে নয়া পালক। চিনকে ঝপিয়ে বিশ্বের দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধির শিরোপা উঠতে চলেছে ভারতের মাথায়। তিন বছর আগেই বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে এই ইঙ্গিত মিলেছিল। ২০১৯ সালের রিপোর্টেই বলা হয়েরছিল যে কয়েক বছরের মধ্যেই আর্থিক বৃদ্ধিতে প্রতিবেশী চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত।
বুধবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে গত বছর এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের তুলনায় এবছর এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ১৩.৫ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে ফের গতি পেয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির হার।
‘অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর রিপোর্ট চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে চিনের আর্থিক বৃদ্ধির আনুমানিক হার মাত্র ০.৪ শতাংশ। অর্থাৎ কোভিড পরবর্তী মন্দা কাটিয়ে এখনও গতি ফেরেনি চিনা অর্থনীতিতে। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে নির্মাণ শিল্পে ধস, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ কর্মসূচিতে বিপুল খরচ, এবং বিভিন্ন দেশকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণদান চিনের আর্থিক মন্দার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে চিনের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণকারী একাধিক দেশ বিপর্যয়ের মুখে। যার পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে চিনা অর্থনীতিতে। লকডাউনের প্রভাব কাটিয়ে এখনও ছন্দে ফেরেনি শি জিং পিং-এর দেশ।
অপরদিকে কোভিড পরবর্তী মন্দা কাটিয়ে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদক্ষেপগুলির সুফল মেলার বার্তাও রয়েছে ওই রিপোর্টে। এমনকী লকডাউনে মুখ থুবরে পড়েছিল যে সব ক্ষেত্রগুলি, যেমন- হোটেল, পরিবহণ ব্যবসা, যোগাযোগ এবং পরিষেবা ইত্যাদির ক্ষেত্রেও পরিস্থিতির বদল ঘটেছে।
আরও পড়ুন - বিদেশি মুদ্রায় ব্যাপক ঘাটতি, শ্রীলঙ্কার পর আর্থিক সঙ্কটে পড়তে পারে ভুটানও?
আরও পড়ুন - এক ধাক্কায় ৩৮-৪০ টাকা বাড়ল জ্বালানির দাম, শ্রীলঙ্কার পথেই কি এগোচ্ছে বাংলাদেশ?