সংক্ষিপ্ত

এবার ডিজিটাল সাংবাদিকতা নিয়েও এবার আইন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর উপযুক্ত আইনটি সংশোধন করে বিলটি খুব তাড়াতাড়ি সংসদের আগাম অধিবেশনে পেশ করবে সরকার। তবে এই আইন লঙ্ঘিত হলে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ থাকবে বলেও জানা যাচ্ছে।
 

এবার ডিজিটাল সাংবাদিকতা নিয়েও  আইন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর উপযুক্ত আইনটি সংশোধন করে বিলটি খুব তাড়াতাড়ি সংসদের আগাম অধিবেশনে পেশ করবে সরকার। তবে এই আইন লঙ্ঘিত হলে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ থাকবে বলেও জানা যাচ্ছে।

ঠিক কি রকম এই আইন?

  • জানা যাচ্ছে, আইনটি বলবৎ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমগুলিকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে।
  • ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম গুলি প্রেস রেসজিস্ট্রেশন জেনারেলের কাছে নথিবদ্ধ হবেন। 
  •  সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যদি আইন না মানা হয় তবে সেক্ষেত্রে সেই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা ছাড়াও জরিমানা নেওয়ার জন্য আলাদা সংস্থাও থাকবে। ইতিমধ্যে দেশ-বিরোধী প্রচারের অভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকটি বিদেশি ডিজিটাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে আইন লঙ্ঘনের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। 
  • আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে রেজিস্ট্রেশন বাতিল অথবা জরিমানাও করা হতে পারে। আর সেই অধিকার রেজিস্ট্রার জেনারেলের থাকবে।

সরকারি আধিকারিকসূত্রে জানা যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়াপার্সনকে প্রধান করে একটি আপিল  বোর্ড গঠনের  পরিকল্পনা  করা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত ডিজিটাল মিডিয়া নির্দিষ্ট কোনও আইন বা সরকারি নিয়মের আওতা ভুক্ত নয়। এই ডিজিটাল মিডিয়াগুলির নিয়ন্ত্রক হিসেবে থাকবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত বিলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অনুমোদন পায়নি বলে জানা গিয়েছে।

তবে আরও খতিয়ে দেখলে জানা যাবে ডিজিটাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা এই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে  নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিল আনা হয়। কিন্তু এ নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। সেই সময় বিরোধীরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল। এছাড়া ইতিহাস ঘাটলেও দেখা যাবে, ভারতে সংবাদমাধ্যম ও ছাপাখানাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তৈরি হয়েছিল 'প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ বুক অ্যাক্ট', ১৮৬৭। ব্রিটিশ যুগের এই আইনের পরবর্তী কালে অনেক সংশোধন করা হয়।   বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ডিজিটাল মিডিয়াকে আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার এই চেষ্টাকে গণতন্ত্রের  কণ্ঠরোধের  চেষ্টা বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে ।

আরও পড়ুন,রেগে গেলে কামড়েও দেন মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষা!দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন,একটিমাত্র খেলনা বলকে আকড়ে মাঝ সমুদ্রে ১৮ ঘন্টা ভেসে রইলেন যুবক! স্তম্ভিত সকলে!
    

ডিজিটাল সাংবাদিকতা  এই মুহূর্তের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আধুনিক সাংবাদিকতা, আগে সংবাদ পরিবেশনার গন্ডি শুধুমাত্র প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতেই আটকে ছিল, কিন্তু ইন্টারনেট ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ডিজিটাল সাংবাদিকতার পরিচয় করায়।  বিশিষ্ট সাংবাদিকের মতে, ডিজিটাল সাংবাদিকতা মানে হচ্ছে, মাল্টিমিডিয়া বা কন্টেন্ট বা বিষয়, অডিও, ভিডিও চিত্র সহযোগে ইন্টারএকটিভ পদ্ধতিতে তথ্য উপাত্তকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রকাশ করা। এটি প্রচলিত গণমাধ্যম বা বিরাজমান সাংবাকিতার এক বিকল্প বলা যেতে পারে। যদিও ডিজিটাল সাংবাদিকতা মানেই সাংবাদিকতার প্রচলিত ধারণার সকল কিছুরই পরিবর্তন নয়, তবুও এটি নিঃসন্দেহে প্রচলিত সাংবাদিকতার জন্য একটি নতুন মাত্রা।আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি অত্যাধুনিক সাংবাদিকতা।