সংক্ষিপ্ত

আর এই ব্যবস্থা চালু হলে, যেকোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এক বাহিনীর সম্পদ এবং ফোর্সকে অন্য বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে। 

এবার ভারতের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে আরও বড় পদক্ষেপ। ভারতের সশস্ত্র তিন বাহিনীর সমন্বয়ে অন্যতম বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।

এবার থেকে তিন বাহিনীর প্রধানদের ব্যক্তিগত স্টাফ অফিসার বা ‘এইড-ডি-ক্যাম্প’নিয়োগ করা হবে তাদের ‘সিস্টার সার্ভিস’অর্থাৎ অন্য বাহিনী থেকে। যার ফলে, সশস্ত্র তিন বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞাপ্তি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে একটি সভায় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরি এবং নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, “আমরা দ্রুত তিন বাহিনীকে নিয়ে যৌথ কার্যক্রমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যাতে এক বাহিনীর সম্পদ অন্য বাহিনী ব্যবহার করতে পারে এবং সেই নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।”

আর এই ব্যবস্থা চালু হলে, যেকোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এক বাহিনীর সম্পদ এবং ফোর্সকে অন্য বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে এবং তাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। এই কথা স্বয়ং জানিয়েছিলেন রাজনাথ সিং। এবার বাস্তবে সেই পথেই এগোল কেন্দ্র।

এই প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, নতুন পদ্ধতিতে সেনাপ্রধান তাঁর ‘এইড-ডি-ক্যাম্প’পাবেন নৌসেনা বা বায়ুসেনা থেকে। ওদিকে আবার নৌসেনার প্রধান তাঁর ‘এইড-ডি-ক্যাম্প’পাবেন স্থলসেনা বা বায়ুসেনা থেকে।

পাশাপাশি বায়ুসেনা প্রধানের ব্যক্তিগত স্টাফ অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হবে স্থলসেনা বা নৌসেনার কোনও অফিসারকে। নতুন বছর থেকেই এই সিদ্ধান্তকে কার্যকর কোরা হয়েছে। চলতি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই নতুন নিয়ম চালু হয়েছে।

অর্থাৎ, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) সমন্বয় নিবিড় করার লক্ষ্যে এই বড় পদক্ষেপটি নিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পরিষ্কার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হল, তিন বাহিনীর প্রধানদের ব্যক্তিগত স্টাফ অফিসার বা ‘এইড-ডি-ক্যাম্প’নিয়োগ করা হবে তাদের ‘সিস্টার সার্ভিস’ থেকে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতীয় স্থলসেনা,, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার দেশ জুড়ে পৃথক পৃথক কমান্ড রয়েছে। এই ‘থিয়েটারাইজ়েশন’পদ্ধতির চূড়ান্ত লক্ষ্য হল, তিন বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন কমান্ডের পরিবর্তে, একই থিয়েটার কমান্ড গঠন করা। ইতিমধ্যেই আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা হয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার।

এমনিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ অনেক আগেই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার যৌথ পদক্ষেপের (থিয়েটারাইজ়েশন) কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। তাঁর মন্ত্রকের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নতুন পদ্ধতিতে স্থলসেনার প্রধান (জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিক) তাঁর ‘এইড-ডি-ক্যাম্প’ পাবেন নৌসেনা বা বায়ুসেনা থেকে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আগেই সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার যৌথ পদক্ষেপের (থিয়েটারাইজ়েশন) কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। তাঁর মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন পদ্ধতিতে স্থলসেনার প্রধান অর্থাৎ জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিক তাঁর ‘এইড-ডি-ক্যাম্প’পাবেন নৌসেনা বা বায়ুসেনা থেকে।

ঠিক একইভাবে নৌসেনার প্রধান (অ্যাডমিরাল পদমর্যাদার আধিকারিক) তাঁর ‘এইড-ডি-ক্যাম্প’পাবেন স্থলসেনা বা বায়ুসেনা থেকে। ওদিকে আবার বায়ুসেনা প্রধানের (এয়ার চিফ মার্শাল পদমর্যাদার আধিকারিক) ব্যক্তিগত স্টাফ অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হবে স্থলসেনা বা নৌসেনার কোনও অফিসারকে।

তার মানে এই ব্যবস্থা চালু হলে, কোনওরকম আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এক বাহিনীর সম্পদ এবং ফোর্সকে অন্য বাহিনী সহজেই ব্যবহার করতে পারবে। ফলে, পরিস্থিতি মোকাবিলা করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই কথা আগেই স্বয়ং জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজনাথ সিং। এবার বাস্তবে সেই পথেই এগিয়ে গেল কেন্দ্রীয় সরকার।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।