সংক্ষিপ্ত
উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে কংগ্রেস আয়োজিত এক ম্যারাথনে দৌড়ে পদদলিত (Stampede at Uttar Pradesh's Bareilly Congress Marathon) হয়ে আহত হলেন বহু ছাত্রী। কোভিড-১৯ মহামারির (COVID-19 Pandemic) মধ্য়ে দেখা গেল ভয়ঙ্কর দৃশ্য।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে কংগ্রেস আয়োজিত এক ম্যারাথনে দৌড়ে (Congress rally in Uttar Pradesh's Bareilly) ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হল। পদদলিত হয়ে গুরুতর আহত হলেন বহু ছাত্রী, তৈরি হল রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ। অন্য যে কোনও সময়ে তো বটেই, বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারির (COVID-19 Pandemic) বাড়-বাড়ন্তের সময়ে এই দৃশ্য অত্যন্ত ভয়াবহ। জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) 'লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ' (Ladki Hoon Ladd Sakti Hoon) প্রচারের অংশ হিসাবে এই মিছিলটির আয়োজন করা হয়েছিল।
এই ঘটনার যে ভিডিও রয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বেরিলিতে আয়োজিত ওই ম্যারাথনে শয়ে শয়ে ছাত্রী অংশ নিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে তাদের সকলেরই বয়স ১৫-র নিচে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ম্যারাথনের শুরুর দিকে থাকা অনেকেই মাটিতে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু, যোগাযোগের অভাবে পিছনের ছাত্রীরা দৌড়ে আসছে। ফলে, মাটিতে পড়ে থাকা ছাত্রীদের গায়ে হোচট খেয়ে অনেকেই তাদের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচ্ছে। মাটিতে পড়ে থাকা ছাত্রীরা যন্ত্রণায় চিৎকার করছে। কংগ্রেস কর্মীরা তাদের তোলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, পিছনের দৌড় না থামায়, আরও অনেকেই পড়ে যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ হল এই ছাত্রীদের কোভিড-১৯'এর বিরুদ্ধে টিকা (Coronavirus Vaccine) নেই। তাদের মুখে মাস্ক থাকলেও যথেষ্ট শারীরিক দূরত্ব ছিল না। আর ঘটনার সময় শ্বাস নেওয়ার জন্যই অনেকে মাস্ক খুলে ফেলতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন - Priyanka Gandhi: ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বিজেপি আরএসএস, কটাক্ষ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর
এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন ছাত্রী গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিশৃঙ্খলার বিষয়ে বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা তথা বেরিলির প্রাক্তন মেয়র সুপ্রিয়া অরন (Supriya Aron), সম্প্রতি বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে পদদলিত (Vaishno Devi Temple Stampede) হওয়ার ঘটনা তুলনা করেন। ওই ঘটনায় ১২ জন তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে সুপ্রিয়া বলেন জনবহুল কোনও জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটা 'স্বাভাবিক'। তাঁদের প্রচার অভিযানকে অসফল করতে, এই ঘটনার পিছনে কিছু দুর্বৃত্তের ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে বলে, জানিয়েছেন তিনি। আঘাতপ্রাপ্তদের প্রতি ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টিকে না বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন কংগ্রেস নেতা।
ঠিক কী করে ম্য়ারাথনে মেয়েরা পড়ে গিয়েছিল, তা অস্পষ্ট। তবে পদদলিত হওয়ার ঘটনার পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে চলাকালীন কয়েকজন কংগ্রেস কর্মী ছাত্রীদের হেনস্থা করেছে, এমন অভিযোগও উঠেছে। এই বিষয়ে, সুপ্রিয়া অরনের দাবি, এরকম কোনও ব্যক্তি কংগ্রেস দলে থাকতে পারে না। কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে বাইরের কেউ মিশে গিয়ে এমনটা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এর আগে ঝাঁসিতে (Jhansi) কংগ্রেসের আরেকটি সমাবেশে ছাত্র ও মহিলাদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে।