সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যসরকারকে এই ক্ষতিপুরণ দেওয়ার জন্য অর্থের সংস্থান রাখতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল থেকেই এই ক্ষতিপুরণ দিতে হবে।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে মৃত্য় হলে পরিবারকে ক্ষতিপুরণ (compensation)দেওয়া হবে। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কোভিড ১৯ (Covid 19) এ আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরণ দেবে রাজ্য সরকার। শুধুমাত্র ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া মৃত্যুর জন্য নয়, আগামী দিনে করোনায় আক্রান্ত হলে মৃত্যু হলেও তাদের পরিবার ক্ষতিপুরণ পাবে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যসরকারকে এই ক্ষতিপুরণ দেওয়ার জন্য অর্থের সংস্থান রাখতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল থেকেই এই ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অর্থসাহায্য পাঠান হবে।
ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে বিপর্যয় কোমাবিলা আইনের ধারায় তৈরি হয়েছিল রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল। এই তহবিলে প্রতি অর্থবর্ষে দুই কিস্তিতে টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ টাকা দেয় কেন্দ্র। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলির তহবিলে প্রায় ৯০ শতাংশ টাকাই আসে কেন্দ্র থেকে। জুলাই মাসে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। জেলা প্রশাসনের মাধঅযমে মৃতদের পরিবারের হাতে সেই টাকা তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান হয়েছে। কেন্দ্রের হলফনামায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, করোনা মোকাবিলার কাজে অংশ নিয়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারকেও অর্থ সাহায্য করা হবে।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এই দেশে করোনা মহামরির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে দেশ। এখনও পর্যন্ত এই দেশে ৪লক্ষ ৪৫ হাজারেও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কয়েকটি রাজ্য সরকার। যার মধ্যে রয়েছে বিহার, মধ্যপ্রদেশে আর দিল্লি।
NDA: মহিলাদের আশা অস্বীকার করতে পারব না, কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে বলল সুপ্রিম কোর্ট
ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণকে জোর করে প্রস্রাব পান করাল কাকু-কাকিমা, আক্রান্তের দাদা বলছে অন্য কথা
কোথাও ভিন গ্রহীরা আসে, কোথাও আবার ভেসে ওঠে প্রাচীন কঙ্কাল, ভারতের রহস্যে মোড়া এমনই সেরা ১০টি জায়গা
সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের হলফনামায় বলা হয়েছে কোভিড ১৯ মহামারির ভবিষ্যৎ পর্যায়ে বা পরবর্তী বিজ্ঞর্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কাজ অব্যাহত থাকবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী মৃতের সংশাপত্রে মৃত্যুর কারণ কোভিড ১৯ এর উল্লেখ থাকতে হবে। রাজ্য সরকার একটি ফর্ম বিলি করবে। সেই ফর্মেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবারকে নির্দিষ্ট নথিসহ মৃত্যুর কারণ জানিয়ে আবেদন করতে হবে। জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরে কর্মরতরা পুরো ঘটনার যাচাই করে অনুমোদন করবে। জেলা কর্তৃপক্ষই অর্থ প্রদান করবে। জেলা শাসক, জেলা স্বাস্থ্য কর্তা বা সিএমওএইচ , অতিরিক্ত সিএমওএইচ, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বা প্রধান-এই কাজের দায়িত্ব থাকবেন। এঁদের নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হবে। এই কমিটি ক্ষতিপুরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কমিটির সিদ্ধান্ত দাবিদারের পক্ষে না যায় তাহলে পুরো কারণ জানাতে হবে কেন্দ্রকে। তবে সবকিছু যাচাই করে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পাঠানো হবে বলেও কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে।
জুন মাসে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল কোভিডে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছে তাদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর এর জন্য আরও ছসপ্তাহ সময় নিয়েছিল। সেই সময়ই বলা হয়েছিল মৃতের সংশাপত্র তারিখ ও কারণ উল্লেখ করতে হবে।