সংক্ষিপ্ত
গোটা বাংলাদেশ উত্তাল। ছাত্র আন্দোলন ঘিরে কার্যত অবরুদ্ধ পড়শি দেশ। এবার এই প্রসঙ্গে বিবৃতি দিল বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
গোটা বাংলাদেশ উত্তাল। ছাত্র আন্দোলন ঘিরে কার্যত অবরুদ্ধ পড়শি দেশ। এবার এই প্রসঙ্গে বিবৃতি দিল বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই।
ইতিমধ্যেই, বাংলাদেশে (Bangladesh) বসবাসকারী ভারতীয় এবং পড়ুয়াদেরকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারত সরকার (Government of India)। বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় এবং পড়ুয়ারা যেন নিজের বাড়ি থেকে রাস্তাঘাটে কম বেরোন।
প্রসঙ্গত, কোটা তথা সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এইমুহূর্তে বাংলাদেশে বৃহত্তর আন্দোলন চলছে। কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পড়শি দেশে। চলছে তুমুল ছাত্রবিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ। আর সেই প্রতিবাদের ওপরই নেমে এসেছে পুলিশ এবং আধাসেনার আক্রমণ।
কেন মেধাকে পিছনে ফেলে কোটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে? তাই আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়ারা। আর এই সংরক্ষণ বিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ এবং আধাসেনার হামলার জেরে মৃত্যুর প্রতিবাদে এবার অবরুদ্ধ গোটা দেশ। দোষীদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থা অবসানের দাবিতে বৃহস্পতিবার, সর্বাত্মক বনধ পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এই বিক্ষোভের জেরে কার্যত স্তব্ধ বাংলাদেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থা।
আরও পড়ুনঃ
তুমুল ছাত্র বিক্ষোভে অবরুদ্ধ বাংলাদেশ! এবার মুখ খুললেন সেই দেশের ক্রিকেটাররা
এই আন্দোলনের জেরে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জাতির প্রতি ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ছাত্র মৃত্যু নিয়ে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে এবার এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সেই দেশের ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াল ভারতে বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। বাংলাদেশে ঘটে চলা এই ছাত্র আন্দোলন নিয়ে এবার বিবৃতি দিল তারা।
এসএফআই বলেছে, “বাংলাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের এই নৃশংসতাকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপরে নেমে আসা পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য সরকারের আরও দায়িত্ববান হওয়া উচিৎ। আমরা বাংলাদেশের ভাই-বোনদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী উত্তরাধিকারকে অক্ষুন্ন রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।”
পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বরা। সেইসঙ্গে, তাদের দাবি, “কোটা সংস্কার নিয়ে আলোচনা শুরু করা উচিৎ এখনই।”
সবমিলিয়ে, বাংলাদেশে ঘটে চলা তীব্র ছাত্র আন্দোলন নিয়ে এবার আসরে নামল এসএফআই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।