সংক্ষিপ্ত
কার্যত অবরুদ্ধ বাংলাদেশ (Bangladesh)। গোটা দেশ উত্তাল ছাত্র আন্দোলনে। আর এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সেই দেশের ক্রিকেটাররা।
কার্যত অবরুদ্ধ বাংলাদেশ (Bangladesh)। গোটা দেশ উত্তাল ছাত্র আন্দোলনে। আর এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সেই দেশের ক্রিকেটাররা।
প্রসঙ্গত, কোটা তথা সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এইমুহূর্তে বাংলাদেশে বৃহত্তর আন্দোলন চলছে। কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পড়শি দেশে। চলছে তুমুল ছাত্রবিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ। আর সেই প্রতিবাদের ওপরই নেমে এসেছে পুলিশ এবং আধাসেনার আক্রমণ।
কেন মেধাকে পিছনে ফেলে কোটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে? তাই আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়ারা। আর এই সংরক্ষণ বিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ এবং আধাসেনার হামলার জেরে মৃত্যুর প্রতিবাদে এবার অবরুদ্ধ গোটা দেশ। দোষীদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থা অবসানের দাবিতে বৃহস্পতিবার, সর্বাত্মক বনধ পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এই বিক্ষোভের জেরে কার্যত স্তব্ধ বাংলাদেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থা। তবে সেই দেশের তরুণরা দায়িত্ববোধ ভুলে যাননি। তাই জরুরি ব্যবস্থাকে ছাড় দিয়েছেন তারা।
আর এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন সেই দেশের ক্রিকেটাররাও। বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal) সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, “আমি দেশের বাইরে আছি। তবে দেশে যা হচ্ছে, তা জেনে মনটা আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। কোনও রক্তপাত, কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই কোনো সংঘাত নয়, আলোচনায় সমাধান হোক। এই অস্থিরতা দ্রুত কেটে যাক। দেশ ও দেশের মানুষ ভালো থাকুক।”
অন্যদিকে, আরও এক বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তৌহিদ হৃদয় (Towhid Hridoy) জানিয়েছেন, “সবকিছু থেকে দূরে আছি, তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি। আমার প্রাণের ঢাকা ইউনিভার্সিটি, আর রক্তাক্ত না হোক।”
সেইসঙ্গে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের (Bangladesh Cricket Team) বোলার শরিফুল ইসলাম (Shoriful Islam) সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, “আমি একজন ক্রিকেটার হলেও আমি একজন ছাত্র। আমি চাই না আর কোনো ছাত্রছাত্রীর রক্ত ঝরুক।”
সবমিলিয়ে, ওপার বাংলার ছাত্র আন্দোলন নিয়ে রীতিমতো সরগরম পরিস্থিতি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।