সংক্ষিপ্ত
আবেদনকারীরা দাবি করেছিলেন যে নতুন মূর্তিটি ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক (অনুচিত ব্যবহার নিষিদ্ধ) আইন, ২০০৫-এর অধীনে অনুমোদিত জাতীয় প্রতীকের নকশার বিপরীত। তবে বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারির বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
ভারতের নতুন সংসদ ভবনে স্থাপিত সিংহের মূর্তি আইন লঙ্ঘন করে না। শুক্রবার এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে আগ্রাসী প্রতিমার দাবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। আদালত আবেদন খারিজ করে বলেন, এটা নির্ভর করে ব্যক্তির মনের ওপর। আসলে, কেন্দ্রীয় ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসাবে সংসদ ভবনে একটি সিংহের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকেও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে দুই আইনজীবী অল্ডনিশ রেইন ও রমেশ কুমারের পক্ষে আবেদনটি দায়ের করা হয়। আবেদনকারীরা দাবি করেছিলেন যে নতুন মূর্তিটি ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক (অনুচিত ব্যবহার নিষিদ্ধ) আইন, ২০০৫-এর অধীনে অনুমোদিত জাতীয় প্রতীকের নকশার বিপরীত। তবে বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারির বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
অ্যাডভোকেট রেইন বলেন, জাতীয় প্রতীকের অনুমোদিত নকশায় কোনো শিল্পকর্ম করা যাবে না। এর সাথে, আবেদনকারী আরও বলেছিলেন যে এতে 'সত্যমেব জয়তে'-এর লোগো নেই। তবে এই প্রতিমা নির্মাণে কোনো আইন লঙ্ঘন হয়নি বলে রায় দিয়েছে আদালত। ১৯৫০ সালে, ২৬ জানুয়ারিতে, নবগঠিত প্রজাতন্ত্রের প্রতীক এবং সিলমোহর হিসাবে রাষ্ট্রীয় প্রতীকটি চালু করা হয়েছিল। একই সময়ে, প্রতীকটি ২০০৫ সালে অস্তিত্ব লাভ করে।
কি বলা হয়েছিল আবেদনে?
আবেদনে বলা হয়েছে, প্রতীকে অন্তর্ভুক্ত সিংহদের হিংস্র ও আক্রমণাত্মক, যাদের মুখ খোলা ও দাঁত দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, সারনাথে প্রতিমার সিংহদের শান্ত দেখা যাচ্ছে। আরও বলা হয় যে চারটি সিংহ বুদ্ধের চিন্তার প্রতিনিধিত্ব করে। আবেদনে বলা হয়েছে, এটি শুধু একটি নকশা নয়, এর নিজস্ব সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে।
প্রথম থেকেই বিরোধীরা জাতীয় প্রতীকের উন্মোচন অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ এই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ না জানানো গণতন্ত্রের অবমাননা। তবে সব থেকে বড় বিষয় হল সারনাথের অশোকস্তম্ভ যা আমাদের জাতীয় প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা নতুন সংসদ ভবনে বসানোর জন্য যে জাতীয় প্রতীক তৈরি হয়েছে সেটি। বিরোধীরা প্রথম থেকেই এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
বিরোধীদের অভিযোগ নতুন যে ব্রোঞ্জের মূর্তিটি তৈরি হয়েছে সেটি অনেক বেশি আগ্রাসী। যা সারনাথের অশোকস্তম্ভে নেই। সারনাথের অশোকস্তম্ভ অনেক বেশি সৌম্য দর্শন ও শান্ত প্রকৃতির। যদিও বিজেপি এই বিষয়ে আগেই নিজেদের মত জানিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন যারা সংবিধানের নিয়ম ভেঙেছে তাদের থেকে সাংবিধানিক পাঠ নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
'শুভেন্দু তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন', মদন 'বাণ' বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে
অশোকস্তম্ভ বিতর্ক- জাতীয় প্রতীকের অপমান বলে তৃণমূলের আক্রমণ মোদী সরকারকে, মত দিল ডিজাইনাররা