সংক্ষিপ্ত

  • অবশেষে রায় ঘোষণা হল কর্ণাটক পদত্যাগ মামলার
  •  শীর্ষ আদালত জানায় পদত্যাগপত্র গ্রহণে স্পিকারকে কোন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে না
  • আদালত জানিয়েছে, বিদ্রোহী বিধায়কদের আস্থা ভোটে থাকা নিয়ে জোর করা যাবে না
     

এ যেন রোমান যুগের 'দ্বি-ধার তরোয়াল'। সুপ্রিম কোর্টের কর্ণাটক রায়কে একবাক্যে প্রকাশ করতে গেলে এছাড়া কোন উপমাই যথেষ্ট নয়। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমারকে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের পদত্যাগ সংক্রান্ত মামলায় আদালত কোন সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষপাতি নয়। ফলে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে সরকারপক্ষ। কিন্তু এর সঙ্গে আদালত জানায় যে, বিদ্রোহী বিধায়কেরা আস্থা ভোটে অংশ-গ্রহণ করবেন কিনা সেটাও কেউ জোর করে ঠিক করে দিতে পারে না। বৃহস্পতিবার কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থা-ভোট। বিদ্রোহী বিধায়কেরা যদি ভোটে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে বড় কোনও অঘটন ছাড়া কুমারস্বামী সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। এখন দেখার রাজনীতির মারপ্যাচে শেষ হাসি কে হাসেন।   

জুলাই মাসের গোড়া থেকেই জাতীয় রাজনীতি সরগরম কর্ণাটক পদত্যাগ মামলায়। একের পর এক কংগ্রেস এবং জেডিএস  বিধায়কের পদত্যাগে বেকায়দায় কর্ণাটকের জোট সরকার। বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগপত্র স্পিকার সুরেশ কুমার গ্রহণ না করায় তারা বাধ্য হয়ে দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। পাল্টা আইনের সাহায্য নেয় কর্ণাটক সরকার এবং স্পিকার রমেশ কুমার। অভিষেক মনু সিংভি কর্ণাটক সরকার এবং স্পিকারের হয়ে সওয়াল করেন সুপ্রিম কোর্টে। বিদ্রোহীদের হয়ে মাঠে নামেন মুকুল রোহতগি। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের এজলাসে দীর্ঘ চার ঘণ্টার শুনানি চলে। অবশেষে বুধবার সকাল সাড়ে দশটার ভরা এজলাসে নিজের রায় পড়ে শোনান বিচারপতি গগই। 

রায়ে তিনি স্পষ্ট জানান, সুপ্রিম কোর্ট কোনওভাবেই স্পিকারকে নিজের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য সময় বেঁধে দিতে পারে না। স্পিকার নিজের পদাধিকার বলে ন্যয্য সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই আদালত আশা প্রকাশ করেছে। এর সঙ্গেই বিচারপতি গগই জানান বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অনুষ্ঠিত হতে চলা আস্থা ভোটে বিদ্রোহী বিধায়কদের উপস্থিতি নিয়ে কোনও রকম জোর করা যাবে না। যুযুধান তিন পক্ষই আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। কংগ্রেসের তরফ থেকে ডি কে শিবকুমার  জানিয়েছেন  এই রায় গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থাকে মজবুত করবে। বিদ্রোহী বিধায়কেরাও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মাথা পেতে গ্রহণ করছেন। তাঁরা কোনও অবস্থায় বৃহস্পতিবারের আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করবেন না বলেও জানিয়েছেন। স্পিকার রমেশ কুমার জানিয়েছেন, তিনি এমন কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না যা কোনওভাবে সুপ্রিম কোর্ট বা লোকপালের রায়কে অমর্যাদা করে।  বিজেপির তরফ থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সংবিধান এবং গণতন্ত্রের জয়।