সংক্ষিপ্ত

সাধারণ মানুষদের মধ্যে বেশিরভাগই জানেন না যে, কোনও মহিলার সঙ্গে যৌন মিলনের জন্য সম্মতির বয়স ১৬ থেকে বাড়িয়ে ১৮ বছর করা হয়েছে। মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট এই কথাই জানিয়েছে।

সাধারণ মানুষদের মধ্যে বেশিরভাগই জানেন না যে, কোনও মহিলার সঙ্গে যৌন মিলনের জন্য সম্মতির বয়স ১৬ থেকে বাড়িয়ে ১৮ বছর করা হয়েছে। মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট এই কথাই জানিয়েছে।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, সঞ্জয় করোল এবং পিভি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার, পকসো আইনের অধীনে থাকা একটি মামলায় মধ্যপ্রদেশ সরকারের আবেদনকে কার্যত খারিজ করে দেয়।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, “বেশিরভাগের মধ্যে সচেতনতা এখনও নেই। কোনও মহিলার সঙ্গে যৌন মিলনের জন্য সম্মতির বয়স ১৬ বছর থেকে বাড়িয়ে এখন ১৮ বছর করা হয়েছে। সেই বিষয়ে এখনও অধিকাংশই সচেতন নন। অন্যথায় পরিবার হস্তক্ষেপ করতে পারে।”

গত ২০১২ সালে, পকসো আইনের প্রয়োগ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) পরবর্তী সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতবর্ষে মহিলাদের সঙ্গে যৌন মিলনের জন্য সম্মতির বয়স ১৬ থেকে বাড়িয়ে ১৮ বছর করা হয়। তবে তা অধিকাংশ মানুষই জানেন না বলে আক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত।

প্রসঙ্গত, পকসো মামলাগুলির ক্ষেত্রে যৌন মিলনের সম্মতি দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়টি বেশ সমস্যার। ফলে, অনেকক্ষেত্রেই অল্পবয়সী মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জন্য মেয়েটির পরিবারের রোষের মুখে পড়ে তাঁর পুরুষ সঙ্গী। এই ধরনের মামলায় আবার বিচার শুরু হওয়ার সময় দেখা যায় যে, তারা হয়তো বিয়ে করেছে। এমনকি, তাদের সন্তানও হয়ে গেছে। ফলে, সেই পুরুষ সঙ্গীকে শাস্তি দিলে ওই মেয়েটি এবং তাঁর সন্তানও চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে।

তাই গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও এই সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এই সমস্যাটি নিয়ে আইনসভায় আলোচনা জরুরি। অন্যদিকে, সেই বছরের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই মত পোষণ করেন।

এদিকে গতবছর মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে যৌনতার জন্য সম্মতির বয়স কমিয়ে ১৬-তে নামিয়ে আনার অনুরোধ জানায়। তারপর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে, বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থির নেতৃত্বে ২২ তম আইন কমিশন, একটি মতামত দেয়। সেখানে তারা জানায় যে, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে থাকে।

সেক্ষেত্রে আইনের দৃষ্টিতে সুস্পষ্ট সম্মতি না থাকলেও, অনুমোদন রয়েছে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সেই কমিশন পরবর্তীতে পকসো আইনে সংশোধনের প্রস্তাবও জানায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।