সংক্ষিপ্ত

২৬ হাজার টাকরি বাতিল মামলায় ফয়সালা হল না সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি।

 

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)আজও ফয়সালা হল না ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষকরে চাকরি বাতিল মামলার (job cancellation case)। সোমবার এই মামলার শুশানি হয়নি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। তবে ওই দিনই এই মামলা শেষ করতে চান বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। এদিনও সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায় যোগ্য - অযোগ্য চাকরিজীবীদের আলাদা করা সম্ভব কিনা? সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরই রায়দান করা হবে।

গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালত এসএসসিতে চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি ছিল। আশা ছিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি থাকবে কি থাকবে না? সেই টানাপোড়েনের মীমাংসা হবে। কিন্তু তা হয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি। এদিনও মামলা উঠেছিল শুনানির জন্য। কিন্তু কোনও ফয়সালা হয়নি। তবে এই মামলায় বিভিন্ন পক্ষ সওয়াল জবাব করে। যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে সাওয়ালে বাগ কমিটির রিপোর্টের কথা উঠে আসে। গোটা বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

ভোটের আগেই কল্পতরু মমতা সরকার, বিধানসভায় বাজেট পেশের আগেই নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

অন্যতম মামলাকারীর আইনজীবী রউফ রহিমের সওয়ালে বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন, বোর্ড, রাড্য সরকার মোটে দেড় হাজার কোটি টাকা তুলেছে। প্রত্যেকে ৫০০ কোটি করে নিয়েছে। চাকরি প্রার্থী পিছু ৭-১০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। তাই এসএসসিকে ৫০০ কোটি টাকা জরিমানা করার পক্ষেও সওয়াল করেন বিকাশ। অন্যান্য পক্ষের আইনজীবীদের কথাও শোনেন বিচারপতিরা। তবে দিনের শেষে তাঁদের একটাই প্রশ্ন যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব কিনা? আলাদা করা সম্ভব হলে যোগ্যদের রেখে অযোগ্যদের চাকরি বাতিল করা হবে। তবে বিকাশরঞ্জন বলেন, এসএসসি জনেই না কাদের নিয়োগ বৈধ।

বিবাহিত জীবনে মিষ্টি প্রেম! বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অ্যাপ Gleeden-র ভারতীয় রেকর্ড

কলকাতা হাইকোর্টের মূল মামলাকারীদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে ২০১৬ সালের পরীক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষা নেওয়া হোক। কারণ এটা স্পষ্ট কারা যোগ্য, তাদের আলাদা করতে পারবে না রাজ্য সরকার। তাই সকলকে ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক। এক্ষেত্রে বয়সসীমা তুলে দেওয়া জরুরি। সবপক্ষের সওয়াল - জবাব শোনার পরই বিচারপতি ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু এক আইনজীবী বলেন, 'ওই দিন সরস্বতী পুজো। কলকাতা থেকে আসার সমস্যা রয়েছে। শুনানি ৪ তারিখ হোক।' এই কথা শোনার পরই বিচারপতি ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। তিনি আরও বলেছেন, ওই দিন শুনানি শেষ করতে চান তিনি। আরও বলেন, তারপরই রায়দান করা হবে।

গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায় দিয়েছিল। যার কারণে একধাক্কায় ২৫৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। কলকাতা হাইকোর্ট চাকরি বাতিলের রায়ের পাশাপাশি যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছিল ওই চাকরিপ্রাপকদের। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশও। তারপর থেকে এই মামলার শুনানি পরপর পিছিয়ে যাচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।