সংক্ষিপ্ত
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, ভারতীয় বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রীর সাথে বৈঠক করে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন। সীমান্ত বিরোধের পর দুই দেশের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। নতুন সম্পর্কের সূচনা হবে কি?
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার বেইজিংয়ে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রীর সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে তিনি বলেন, চিন ও ভারতের "সন্দেহ" এবং "বিচ্ছিন্নতা"র পরিবর্তে "পারস্পরিক সমর্থন এবং পারস্পরিক অর্জন"কে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। পূর্ব লাদাখে LAC (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা) ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। গত কিছু সময় ধরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে। মিস্রীর চিন সফর দুই দেশের মধ্যে এক মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় হাই-প্রোফাইল বৈঠক।
দুই দেশের স্বার্থেই চিন-ভারত সম্পর্ক উন্নত করা জরুরি
ওয়াং ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সময় চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে হওয়া বৈঠকের পর থেকে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "দুই পক্ষেরই এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত। একসাথে কাজ করা উচিত। আরও দৃঢ় পদক্ষেপের কথা ভাবা উচিত এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া, সহযোগিতা এবং অর্জনের জন্য কাজ করা উচিত। চিন-ভারত সম্পর্ক উন্নত করা দুই দেশের স্বার্থেই।"
মিস্রীর বেইজিং সফর সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য চিন ও ভারতের বিশেষ প্রতিনিধিদের মধ্যে ২৩তম বৈঠকের ঠিক পরেই হচ্ছে। ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর দুই পক্ষই আবারও আস্থা তৈরির চেষ্টা করছে। ভারত চিনকে স্পষ্ট করে বলেছে, সীমান্তে শান্তি না হওয়া পর্যন্ত সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।
আরও পড়ুন- BUDGET 2025 : নির্মলা সীতারমণের টানা ৮ম বাজেট, কবে ও কোথায় দেখবেন লাইভ
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে গালওয়ানে চিনা অনুপ্রবেশের জেরে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর দুই দেশই সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে চিন ও ভারতের সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার পর কিছু সংঘাতপূর্ণ স্থান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার এখনও সম্ভব হয়নি।