সংক্ষিপ্ত
কাশীবিশ্বনাথের জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলা নয়া মোড়। একটি আলাদা বেঞ্চ গঠন করেই হবে শুনানি। শুনানি হবে শুক্রবার থেকে।
জ্ঞানবাপী কাশীবিশ্বনাথ মামলার শুনানির জন্য একটি বেঞ্চ তৈরি করতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বেঞ্চে শুক্রবার অর্থাৎ আগামিকাল হিন্দুপক্ষের আবেদনের শুনানি হবে। কারণ জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গনে একটি পরিকাঠামো উদ্ধার হয়েছে। যা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। হিন্দুপক্ষের দাবি ওটি কোনও কাঠামো নয়, ওটি একটি শিবলিঙ্গ। মসজিদ কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি ওটি একটি ঝর্না। যাইহোক আদালতের নির্দেশে এই অঞ্চলে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। তার মেয়াদ আরও বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিল হিন্দু পক্ষ।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ হিন্দু ভক্তদের উপস্থিতিতে অ্যাডভোকেট শঙ্কর জৈনের দাখিল করা নোট গ্রহণ করেছে। বলেছে। পাশাপাশি জানিয়েছে সুরক্ষার প্রদানের সময়সীমা আগামী ১২ নভেম্বর শেষ হচ্ছে। তারপরই সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'আমরা আগামিকাল (শুক্রবার) ৩টে একটি বেঞ্চ গঠন করব।' যার অর্থ এই বেঞ্চেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্ট গত ১৭ মে বারাণসীর জ্ঞানবাপি মসজিদ প্রাঙ্গনের ভিতরের এলাকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য একটি অন্তবর্তী নির্দেশ দিয়েছিল।
অন্য়দিকে এই মামলার শুনানি চলছে এলাহবাদ হাইকোর্টেও। জ্ঞানবাপী মসজিদের শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারণ করার বিষয় এখনও কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি এলাহবাদ হাইকোর্ট। তবে আদালত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রধানের কাছে জানতে চেয়েছে শিবলিঙ্গ বা কাঠামোটির কোনও ক্ষতি না করে সেটির কার্বন ডেটিং, গ্রাউন্ড নেনিট্রোটিং ব়্যাডার বা জিআরপি পরীক্ষা করা যায়নি কিনা। এই বিষয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রধানের কাছে থেকে এই বিষয়ে একটি লিখিত মতামাত চেয়েছে। খনন ও অন্যান্য পদ্ধতিতে যদি কাঠামোটির বয়স নির্ধারণ করা হয় তাহলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা তাও জানতে চেয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। কাঠামোটির সম্পূর্ণ নিরাপদ মূল্যায়ন করা যাবে কিনা - সেই বিষয়ে সংস্থার প্রধানের মতামতও জানতে চেয়েছে।
জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে আদালতের নির্দেশিত একটি সমীক্ষার সময়ই কাঠামোটি পাওয়া গিয়েছিলেন মসজিদ প্রাঙ্গনের একটি পুকুরের মধ্যে। তারপর থেকেই হিন্দু পক্ষ সেটিকে শিবলিঙ্গ বলে দাবি করেছে। অন্যদিকে মুসলিম পক্ষ জানিয়েছে এটি একটি ঝর্না জাতীয় জিনিস। যা দীর্ঘ দিন ধরেই পুকুরের মধ্যে পড়ে ছিল।
বিচারপতি জেজে মুনিরের বেঞ্চ গত ১৪ অক্টোবর বারানসীর জেলা জজের আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে হিন্দুপক্ষের দায়ের করা দেওয়ানি পুরর্বিবেচনার পিটিশনে এই আদেশ দিয়েছিল। সেই সময় বিচারক উদ্ধার হওয়া কাঠামোরটির বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চেয়ে হিন্দুপক্ষ যে আর্জি জানিয়েছিল তা খারিজ করে দিয়েছিল। জেলা বিচারক বলেঠিলেন যে সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু শিবলিঙ্গ পাওযার জায়গাটিকে রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে তাই বৈজ্ঞানিক তদন্তের আবেদনের অনুমতি দেওয়া যায় না। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ ছিল যে সেভাবে কাঠামোটির বৈজ্ঞানিক তদন্ত চাওয়া হয়েছে তা হলে কাঠামোটির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
গুজরাটে বিজেপির বড় চমক, প্রার্থী হচ্ছেন রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী আর দলবদলু হার্দিক প্যাটেল
জ্ঞানবাপী মসজিদের 'শিবলিঙ্গ'র বয়স কি নির্ধারণ করা যায়? আদালত জানতে চাইল ASIর কাছে