- Home
- India News
- ওয়াকফ সম্পত্তি নথিভুক্ত করার মামলার বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, সময়সীমা ৬ মাস বাড়াতে আবেদন
ওয়াকফ সম্পত্তি নথিভুক্ত করার মামলার বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, সময়সীমা ৬ মাস বাড়াতে আবেদন
ওয়াকফ সম্পত্তির বিবরণ কেন্দ্রীয় সরকারে উমিদ পোর্টালে নথিভুক্ত করার সময়সীমা আরও ৬ মাস বাড়িয়ে দেওয়া হোক। এমনই আবেদ সুপ্রিম কোর্টে করা হয়েছিল। কিন্তু তা এদিন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।

আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫ অনুযায়ী ওয়াকফ সম্পত্তি নথিভুক্ত করার জন্য 'ছয় মাসের সময়সীমা' বাড়ানোর আবেদন শুনবে না সুপ্রিম কোর্ট। তেমনই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে প্রয়োজন হলে বা কাজে সমস্যা হলে তখন সময়সীমা বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগস্টিন জর্জ মাসিহের একটি বেঞ্চ আবেদনকারীদের ২০২৫ সালের আইন অনুযায়ী ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করে এই সমাধান চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ আরও বলেছে সম্পত্তি নথিভুক্ত করার সময় যদি প্রযুক্তিগত ত্রুটি নজরে আসে তাহলে তা নিয়ে ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ সংশ্লিষ্টরা হতে পারে। সেখানে সময়সীমা বৃদ্ধি করার আবেদন করা যেতে পারে। আদালত ট্রাইব্যুনালের হাতেই পুরো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য
শীর্ষ আদালত বলেছে, "যেহেতু আবেদনকারীদের জন্য ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে প্রতিকার ইতিমধ্যেই উপলব্ধ, তাই তারা ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে তা চাইতে পারে, যা আমাদের জানানো হয়েছে সম্পত্তি নিবন্ধনের শেষ তারিখ"। দুই বিচারপতির বেঞ্চ আরও বলেছে, 'আপনারা ট্রাইব্যুনালের কাছে যান। নির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। ওয়াকফ আইন আমরা নতুন করে লিখতে পারি না। আইনের প্রয়োগ হতে দিন। আমরা কেন হস্তক্ষেপ করব?'
আবেদনকারীর সওয়াল
আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা জানান যে সমস্যাগুলি শুধুমাত্র UMEED পোর্টালে ওয়াকফ সম্পত্তি নিবন্ধনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর ডিজিটাইজেশনের সঙ্গে জড়িত।
আবেদনকারীরা যুক্তি দেন, যতক্ষণে ট্রাইব্যুনাল UMEED পোর্টালে ওয়াকফ সম্পত্তির নিবন্ধন বা ডিজিটাইজেশন থেকে উদ্ভূত সমস্যাগুলির আবেদন বিবেচনা করবে, ততক্ষণে ৬ ডিসেম্বরের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলা
তবে, শীর্ষ আদালত বলেছে যে কোনও আবেদনকারী পোর্টালে ওয়াকফ সম্পত্তি নিবন্ধন করতে প্রকৃত অসুবিধার সম্মুখীন হলে ট্রাইব্যুনালের কাছ থেকে সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারেন।
আদালত বলেছে, "যদি (পোর্টালে) সময় শেষ হয়ে যায়, তবে আপনাকে দায়ী করা যাবে না। যদি ট্রাইব্যুনাল আপনাকে অনুমতি দেয়, তবে আপনার ছয় মাস গণনা করা হবে এবং আপনার আবেদন বিবেচনা করা হবে। আপনার অনুমতির প্রয়োজন নেই। যদি অসুবিধা হয়, আপনি সবসময় আমাদের কাছে আবেদন করতে পারেন"।

