সংক্ষিপ্ত
চুম্বনে সারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ
দাবি করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের তান্ত্রিক
করোনাই প্রাণ কাড়ল
সংক্রমিত করলেন ২০ জনকে
তাঁর এক ঝাড়ফুক আর চুম্বনেই নাকি করোনা সেরে যেত। বেশ কয়েকদিন ধরে এমনই দাবি করে আসছিলেন। আর মহামারীর এই চরম সময় একাধিক মানুষও এসেছিলেন তাঁর সংস্পর্শে। সেই তান্ত্রিকেরই মৃত্যু হল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে। গত তেশরা জুন তিনি তান্ত্রিক করোনায় আক্রান্ত হন। আর পরের দিনই মৃত্যু হয় তাঁর। মধ্যপ্রদেশের রতলামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। আর রিপোর্ট আসার পরই তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।
তান্ত্রিকের সংস্পর্শে আসা মানুষদের খুঁজতে বার হতে হয়েছে প্রশানের কর্তাব্যক্তিদের। রতলাম জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ইতিমধ্যেই ২৯ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। যাঁরা তান্ত্রিকের সংস্পর্শে এসেছিলেন। যার মধ্যে ৭ জনই তান্ত্রিকের পরিবারের সদস্য। নমুনা পরীক্ষার পর ২০ জনেরই করোনা ধরা পড়েছে। প্রত্যেককেই কোয়ারেন্টাইন থেকতে বলা হয়েছে। বাকিদের খোঁজেও চলছে অভিযান।
পিপিই-র দাম দেখেই চক্ষু চড়কগাছে, হাসপাতালের বিল মেটাতে ঋণ করতে হল করোনা আক্রান্তকে ...
করোনা নিয়ে কথায় এল দেশের 'ডিএনএ' প্রসঙ্গ, রাহুল গান্ধী কী বললেন মার্কিন অধ্যাপককে ...
যতকাণ্ড কোয়ারেন্টিনে, 'লুঙ্গি ডান্স' খেলাধূলা তো ছিলই এবার যোগ হল মদ গাঁজা বিক্রিও ...
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই তন্ত্র সাধানা করতে। ঝাড়ফুঁক করে রোগ সরানোর দাবিও করত। তাঁর বৈশিষ্ঠ ছিল হাতে চুম্বন করা। আক্রান্তের হাতে চুম্বন করা মাত্রই রোগী নাকি সুস্থ হয়ে যেত। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে রতনলাল দাবি করেছিলেন তিনি নাকি আক্রান্ত ব্যক্তির হাতে চুম্বন করেই করোনা সারিয়ে দিতে পারেন। সেইজন্য অনেকেই আসত তাঁর কাছে। স্থানীয় প্রশাসন অবশ্য এলাকার মানুষদের সচেতন করার কাজে শুরু করেছে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন এই জাতীয় কুসংস্কার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে।