আফগানিস্তানের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক তো বটেই, মহিলাদের স্বাধীনতার ওপরেও বড় আঘাত। এমনই মনে করছেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক তো বটেই, মহিলাদের স্বাধীনতার ওপরেও বড় আঘাত(Taliban erasing women)। এমনই মনে করছেন বিতর্কিত লেখিকা (Bangladeshi author) তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasreen)। তাঁর মতে আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে চলে আসার অর্থ মহিলাদের যৌন দাসী (sex slaves) করে রাখার প্রবণতা বাড়বে। কাবুলে একের পর এক মহিলা মডেলের ছবি ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এমন মন্তব্য তসলিমার। 

তাঁর দাবি তালিবানরা মহিলাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। দেশের কোথাও যেন মহিলাদের দেখা না যায়, এমন বন্দোবস্ত করতে চায় তারা। ঘরে মহিলাদের আটকে রেখে যৌনদাসী বানিয়ে রাখতে চায় তালিবানরা। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তসলিমা। তাঁর মতে তালিবানদের কাছে মহিলারা সন্তান উৎপাদন করার মেশিন ছাড়া আর কিছু নয়।

Scroll to load tweet…

টুইট করে তসলিমা বলেছেন ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যখন কঠোর শাসন ছিল তালিবানদের, তখনও মহিলাদের কাজ করা, টিভি দেখা ও গান শোনা নিষিদ্ধ ছিল। আবার কি সেই জমানা ফিরে আসতে চলেছে, প্রশ্ন করেছেন তসলিমা। কোনও মুসলিম রাষ্ট্রে মহিলাদের সঙ্গে মানুষের মতো ব্যবহার করা হয় না বলে দাবি লেখিকার। 

Scroll to load tweet…

বিবিসি এর আগে রিপোর্ট করেছিল যে কাবুলের তরুণীরা সাহায্য চাইছে তালিবানদের থেকে বাঁচার জন্য। তালিবানরা এখন কাবুল দখল করেছে। ফলে তাঁদের অবস্থা শোচনীয় হতে চলেছে বলে মত তসলিমার। 

Scroll to load tweet…

আফগানিস্তানে নারীদের ভাগ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের মধ্যে, মঙ্গলবার আফগানিস্তানের জাতীয় সংবাদমাধ্যমে একজন তালিবান নেতা জানান, নারীরা পিছিয়ে থাকবে না। তারাও সরকারে যোগ দিক। এনামুল্লাহ সামঙ্গানি জানান, নারীদের ওপর যাতে অত্যাচার না হয়, তা দেখা হবে। তবে ইতিহাস অন্য কথা বলছে। ২০০২ সালের আগে পর্যন্ত যখন তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল রেখেছিল, তখন শিশুকন্যাদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। শরিয়া আইন চালু ছিল গোটা দেশ জুড়ে। ব্যভিচারীদের পাথর ছুঁড়ে মারা হত ও চোরেদের অঙ্গ কেটে ফেলা হত।