সংক্ষিপ্ত

ছাত্রের প্রেমে পড়লেন এক শিক্ষিকা। তাঁদের প্রেম এতটাই গভীর ছিল যে দুজনেই দেদার চ্য়াট করেছেন।

দশম শ্রেণির ছাত্রের প্রেমে মগ্ন শিক্ষিকা। প্রেম চলতে মোবাইল ফোনে। সেই চ্য়াট ঘিরে উত্তালকাণ্ড। কারণ ছাত্র-শিক্ষিকার প্রেম নিয়ে কালঘাম ছুটছে পুলিশের। দায়ের হয়েছে মামলা। এখানেই শেষ নয়। চ্যাটের বেশকিছু অংশ সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। সেখানেই এবার ছাত্রের প্রেমে পড়লেন এক শিক্ষিকা। তাঁদের প্রেম এতটাই গভীর ছিল যে দুজনেই দেদার চ্য়াট করেছেন। যেখানে নাকি অন্তরঙ্গ কথাবার্তাও লেখালেখি হয়েছিল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ শিক্ষিকা ছাত্রের ধর্ম পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন। যা নিয়ে রীতিমত অসন্তোষ জানিয়েছে অভিভাবকরা। মামলা দায়ের করা হয়েছে থানায়।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে কালঘাম ছুটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরের পুলিশের। পুলিশ সূত্রের খবর, গোটা ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে ফরেনিসক বিভাগকে। ফরেনসিক রিপোর্ট আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।।

পুলিশ সূত্রের খবর ছাত্রের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। কান্ত পুলিশ স্টেশনে বজরং দলের সদস্যদের নিয়ে গিয়েই অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রের বাবা। অভিযোগের সঙ্গেই পুলিশের হাতে তাঁর নিজের ছেলে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ, অশ্লীন ছবি, চ্যাটের স্ক্রিন শট পাঠান তিনি। যেগুলিকে তিনি অশালীন বলেও অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা করার অভিযোগও করেছেন তিনি।

ছাত্রের বাবার অভিযোগ ছেলের জন্য প্রেমের ফাঁদ পেতে রেখেছিল শিক্ষিকা। শিক্ষিকা ভুয়ো হোয়াসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে ছেলেকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন। তাঁর ছেলেকে অশালীন ছবি পাঠান হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। তিনি আরও বলেছেন, শিক্ষিকা তাঁর ছেলের ধর্ম পরিবর্তন করতে একাধিক পদক্ষেপও নিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে শিক্ষিকার মতামত পাওয়া যায়নি।