তেলঙ্গানার টানেল ধসে ৮ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের জন্য চলছে অভিযান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে সেনা, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর দল।

তেলেঙ্গানার টানেলে ধসের ঘটনায় উদ্ধারকাজ চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। টানেলের ভিতরে ৮ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধারের জন্য সেনা, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর দল ঘটনাস্থলে হাজির আছে। তবে উদ্ধারকাজে বেশ কিছু বাধার সৃষ্টি হয়েছে।

আটকে পড়া শ্রমিকদের জীবিত উদ্ধারের আশঙ্কা কম

সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে তেলেঙ্গানার মন্ত্রী জে. কৃষ্ণ রাও জানিয়েছেন, টানেলের ভিতরে জল এবং মাটি জমে থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, “টানেলের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে মাটি জমে গেছে। ফলে সেখানে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উদ্ধারকারী দল রাবার টিউব এবং কাঠের ফলক ব্যবহার করে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে।”

রাজ্য সরকার প্রকাশ করেছে ভিডিও

উদ্ধারকারী দল টানেলের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করে চলেছে। জল বের করার জন্য মোটর ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আবর্জনা, কাঁচা মাটি এবং ভাঙা সিমেন্টের মধ্যে দিয়ে উদ্ধারকারী দল ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে।

কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

টানেল তৈরির কাজ আবার শুরু হওয়ার পর এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় ৫০ জন শ্রমিক টানেলের ভিতরে ঢুকে ছিলেন। তারা প্রায় ১৩.৫ কিলোমিটার ভিতরে ঢোকার পর টানেলের ছাদ ধসে পড়ে। এই ঘটনায় ৮ জন শ্রমিক, যাদের মধ্যে ২ জন ইঞ্জিনিয়ার আছেন, আটকা পড়েন। বাকি ৪২ জন শ্রমিক দ্রুত টানেল থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।

এসডিআরএফ-এর উদ্ধারকারীর বক্তব্য

তেলেঙ্গানার টানেল ধসের ঘটনায় আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য ভারতীয় সেনা, এনডিআরএফ এবং উত্তরাখণ্ডের টানেল দুর্ঘটনায় অংশগ্রহণকারী উদ্ধারকারী দলকে ও ডাকা হয়েছে। এসডিআরএফ-এর এক উদ্ধারকারী এএনআই-কে বলেন, "টানেলে আটকে পড়া লোকদের কাছে পৌঁছানোর কোনও রাস্তা নেই। টানেলটি সম্পূর্ণ ধসে গেছে এবং ভিতরে হাঁটু পর্যন্ত আবর্জনা জমে গেছে। আমাদের এখন অন্য উপায় খুঁজতে হবে।" শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ফোনে ঘটনার খোঁজ নেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ঘটনার খোঁজ নেন এবং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।