সংক্ষিপ্ত

রবিবার জম্মু কাশ্মীরের মুনান্দে ভয়াবহ গুলির লড়াই। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে এক জঙ্গিকে নিকেশ করতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনা।

ভোর থেকেই গুলির শব্দে গোটা এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছিল। রবিবার জম্মু কাশ্মীরের মুনান্দে তখন চলছে ভয়াবহ গুলির লড়াই। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে এক জঙ্গিকে নিকেশ করতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনা। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ এক ট্যুইটে জানিয়েছে এই তথ্য। রবিবার ভোরে গুলির লড়াই শুরু হয় ভারতীয় সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে। কুলগামে এখনও তল্লাশি চলছে বলে সূত্রের খবর। 

কাশ্মীর জোন পুলিশ ট্যুইট করে জানায়, ভারতীয় সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী গোপন সূত্রে খবর পায় মুনান্দ এলাকার একটি বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। এরপরেই তল্লাশি শুরু হয়। গুলি চালায় জঙ্গিরা, পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। 

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তপ্ত কাশ্মীর। ২৩শে জুলাই বিস্ফোরক বোঝাই একটি ড্রোনকে গুলি করে নামায় জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। ড্রোনটিতে আইইডি ভরা ছিল বলে সূত্রের খবর। জম্মুর আখনুর সেক্টরে ড্রোনটিকে প্রথম দেখা যায়। শুক্রবার গভীর রাতে এটিকে চিহ্নিত করেই গুলি চালায় জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। 

প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা এটিকে চিহ্নিত করেন। তারপরেই খবর যায় পুলিশের কাছে। দ্রুত ছুটে আসে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। মানবহীন ড্রোন থেকে উদ্ধার হয় ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি। ড্রোন থেকে যে পরিমাণে আইডি উদ্ধার করা হয়েছে, তা বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য যথেষ্ট বলে মনে করছে পুলিশ।  

উল্লেখ্য, জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়ে ছিলেন পাক জঙ্গিরা ক্রমাগত ভারতে হামলার চেষ্টা করছে, তাদের অন্যতম হাতিয়ার ড্রোন। এরই সাথে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তানের কোনও সন্ত্রাসবাদী দল হামলার পরিকল্পনা রয়েছে। ড্রোনের ব্যবহার করেই নাশকতার ছক কষতে শুরু করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই পুলিশকে সতর্ক করেছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর ৫ অগাস্ট থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যেই হামলা চালানো হতে পারে। ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়েছিল। সেই কারণেই জঙ্গিরা ওই দিনটিকেও টার্গেট করতে পারে বলেও মনে করছেন গোয়েন্দারা।