হাইকোর্টের বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, ‘যদি কোনও স্ত্রী শারীরিক সম্পর্কে না জড়িয়ে কোনও পরপুরুষকে ভালোবেসে থাকেন তবে তাকে পরকীয়া বলা যায় না।’
স্ত্রীর সম্পর্ক থাকতেই পারে অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে । তবে শারীরিক সম্পর্ক অন্য পুরুষের সঙ্গে না থাকলে তাকে পরকীয়া বলা যায় না। এক মামলায় এমনটাই জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। বিচারপতি এও জানিয়েছেন যে, স্বামী ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক অন্য পুরুষের সঙ্গে থাকলে, তবেই তাকে বলা যায় পরকীয়া।
দাম্পত্য কলহের জেরে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রথমে দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিম্ন আদালতের। ওই ব্যক্তির অভিযোগ ছিল, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে তার স্ত্রীর । তিনি ভালোবাসেন অন্য এর পুরুষকে। তাই ওই ব্যক্তি খোরপোশ দিতে রাজি নন কোনও মতেই। এই মামলায় স্বামীর বিপক্ষেই নিম্ন আদালত রায় দেয়। খোরপোশ বাবদ চার হাজার টাকা করে দিতে বলে নিম্ন আদালত। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে ।হাইকোর্টের বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, ‘যদি কোনও স্ত্রী শারীরিক সম্পর্কে না জড়িয়ে কোনও পরপুরুষকে ভালোবেসে থাকেন তবে তাকে পরকীয়া বলা যায় না।’
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষনে এও জানিয়েছে,বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৪৪(৫) ধারা এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২৫ (৪) ধারায় । সেখানে বলা হয়েছে, স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক থাকলে ভরণপোষণের খরচ দিতে আপত্তি জানানো যেতে পারে। বিচারপতি আহলুওয়ালিয়া সম্প্রতি নির্দেশনামায় জানান, শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী যদি সম্পর্কে থাকেন, তাকে পরকীয়া বলা যায় না।
মামলাকারী আদালতে জানান, তিনি কাজ করেন হাসপাতালে সামান্য ওয়ার্ড বয় হিসাবে। উপার্জন করেন মাসে মাত্র আট হাজার টাকা । এর মধ্যে পারিবারিক আদালত খোরপোশ বাবদ স্ত্রীকে চার হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে বিচারপতি জানিয়েছেন, কম আয় করেন বলে স্বামী আপত্তি জানাতে পারেন না ভরণপোষণের খরচে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, নিজের প্রয়োজনের খরচ মেটাতেই সক্ষম না হয়েও মামলাকারী সব জেনেবুঝেও মহিলাকে বিয়ে করেছেন। তা হলে স্বামীকেই স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
