সংক্ষিপ্ত

রাজ্যপাল বলেন “অন্ধকার সময়টা ভোরের ঠিক আগে। টানেলের শেষে আলো থাকবে। আজ একটাই বার্তা পেলাম যে, শীত এলেও বসন্ত কিন্তু পিছিয়ে যেতে পারে না। সামনের দিনগুলিতে ভাল কিছু ঘটবে,”।

 

অন্ধকার সময় ভোরের ঠিক আগে, সুড়ঙ্গের শেষে আলো থাকবে। এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দেখা করার পর পশ্চিমবঙ্গের গভর্নরের মুখে শোনা গেল এমনই কথা। এরই সঙ্গে তিনি বলেন যার শেষ ভাল, তার সব ভাল।

রাজ্যপাল বলেন “অন্ধকার সময়টা ভোরের ঠিক আগে। টানেলের শেষে আলো থাকবে। আজ একটাই বার্তা পেলাম যে, শীত এলেও বসন্ত কিন্তু পিছিয়ে যেতে পারে না। সামনের দিনগুলিতে ভাল কিছু ঘটবে,”।

উল্লেখ্য, রাজ্যে হিংসা বিধ্বস্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রিপোর্ট করতে দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর সোমবার সন্ধেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নর্থ ব্লকে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন। সূত্রের খবর ছিল, শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে যে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে কথা বলবেন রাজ্যপাল।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন রাজ্যপাল। তাঁকে রাজ্যের ‘নির্বাচনী হিংসা’র বিষয়ে জানাতে পারেন। সোমবার সন্ধ্যায় সম্ভবত সেই কাজটাই করতে চলেছেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্যপালের রীতিমত সক্রিয় ছিলেন। শনিবার একাধিক বুথ পরিদর্শন করেন। হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলব করে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। ভোট পরিচালনা বিয়ে রাজীব সিনহার তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি।

উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, রাজ্যের এই হিংসার পরে রাজ্যপালের আর ভাষণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এবার রাজ্যপালের উচিৎ বাংলার হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠানোর। তিনি বলেন রাজ্যপালের এবার বলা উচিৎ 'বাংলা জ্বলছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারার মাধ্যনে হস্তক্ষেপ করা উচিৎ।'

এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার কারণে আজ ৬৯৭টি বুথে পুনঃভোট হচ্ছে। শনিবার ৭৪ হাজার পঞ্চায়েতের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে হিংসা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং বুথ দখলের অনেক ঘটনা ঘটেছে। আজ ভোটের সময় সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এ সময় বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার ভোটের দিন রাজ্য রক্ত প্রাণহানির হোলিখেলা দেখে। এ সময় বহু মানুষ নিহত হয় এবং বুথ দখলের ঘটনাও সামনে আসে। কোথাও কাউকে ব্যালট বাক্স নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে, কোথাও ব্যালট বাক্স পুড়ে গেছে আবার কোথাও ব্যালট বাক্স জলে ভাসতে দেখা গেছে। এমন নৈরাজ্যের মধ্যে, পুলিশ, প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের করা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে।