গতকাল, বৃহস্পতিবার রাজস্থানের জালোরের এক গ্রামে ঘটে এক দুর্ঘটনা। খেলার সময় পা পিছলে ৯৫ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যায় চার বছরের ছেলে অনিল দিওয়াসি। অনিলকে কুয়ো থেকে তুলে আনতে গোটা গ্রাম লেগে পড়ে, খবর যায় প্রশাসনের ওপর মহলে।

গতকাল, বৃহস্পতিবার রাজস্থানের জালোরের এক গ্রামে ঘটে এক দুর্ঘটনা। খেলার সময় পা পিছলে ৯৫ ফুট গভীর একেবারে সরু কুয়োয় পড়ে যায় চার বছরের ছেলে অনিল দিওয়াসি। মাটি থেকে জল আনার জন্য ছোট এই কুয়ো খোঁড়া হয়, যাকে বলে 'বোরওয়েল'। অনিলকে সেই বোরওয়েল বা কুয়ো থেকে তুলে আনতে গোটা গ্রাম লেগে পড়ে, খবর যায় প্রশাসনের ওপর মহলে। তারপর থেকে উদ্বেগের রাত কাটে সবার। অত গভীর গর্তের আকার এবং একেবারে সরু কুয়ো থেকে শিশুটিকে বাঁচিয়ে আনার চেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রশাসন। কিন্তু কিছুতেই তাকে তুলে আনা যাচ্ছিল না। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে চার বছরের ছেলেটিকে কুয়ো থেকে তুলে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানান প্রশাসনের কর্তা ভূপেন্দ্র কুমার যাদব। ছেলেটি এখন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ আছে। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: টানা দু দিন দেশে দৈনিক আক্রান্ত চার লক্ষের উপরে, মৃত্যু ৩৯১৫

Scroll to load tweet…

বিশেষজ্ঞ ও সরঞ্জামের অভাবে শিশুটিকে উদ্ধারকাজ শুরু হতে বেশ কিছুটা সময় দেরি হয় বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধারকাজে সবচেয়ে কঠিন ছিল কুয়োটি একেবারে সরু হওয়ায়। এরপর রাজস্থানের জালোরের লাচহিরি গ্রামে শিশুটিকে ৯৫ ফুট কুয়ো থেকে উদ্ধার করতে যায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনির একটি দল। কুয়োয় পড়ে থাকা অবস্থায় যাতে শিশুটিকে কিছুতেই ঘুমিয়ে না পড়ে সেই চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। কুয়োয় যাতে শিশুটি কিছুতেই অক্সিজেনের অভাববোধ না করে তা নিশ্চিত করতে পাইপের অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। শিশুটিকে খাবারও পাঠানো হয়েছিল। 

আরও পড়ুন: কোভিডে একদিনে রাজ্যে ১১৭ জনের মৃত্যু, মিউটেশনকে হাতিয়ার করে আসছে তৃতীয় ঢেউ, মত কেন্দ্রের

Scroll to load tweet…

জানা গিয়েছে শিশুটির বাবা নাগারাম দিওয়াসি নিজে চাষের কাজের জন্য এই কুয়োটি খুঁড়ে ছিলেন। এক পুলিস কর্তা জানান কুয়োটি ঢাকা দেওয়া ছিল, কিন্তু খেলার সময় ছেলেটি ঢাকা তুলে নেয়।